তব বেদীতে নয়-
বেণীতে দিয়েছিলাম বেলীমাল্য,
মুঠির ফোয়ারায় রজনীগন্ধা
আর তর্জনীর কোঠরে লাল গোলাপ।


বেদীর পাদপ্রদীপের উত্তাপে
মলিন হতে নয়,
তোমার কমল হাতের স্পর্শে
সজীব হতে
দিয়েছিলাম গোলাপ-রজনীগন্ধা।


তব ধমনীর স্পন্দন বেয়ে যখন
আভা হয়ে ফুটত পুষ্পপত্রাধার
সে পুষ্প যেন হত অমৃতের আধার।


বেণীতে নয়-
বেদীতে দেই গাঁদা-গোলাপ
আর অর্কিডের বাহার।
প্রজাপতি নয়, মৌমাছি নয়, নয় ভ্রমর
সেথা ঘটে পিপীলিকার সমাহার।


তব কায়ার প্রতিকৃতি
উত্তাপ ছড়ায় না
সৌর কিরণের বিরুদ্ধে
থেমে যায় শিশিরের লড়াই।


পত্রাধারে ফুটে না আভা।
তবু তব বেদীতে প্রতিনিয়ত
বসে ছিন্ন ফুলের সভা।