ডাইনিংরুমের পাশ বেয়ে চলা সরু পথের বামে কিংবা ডানে
একখানা ধোঁয়া-নির্গম চিমনিসমেত কুঠির।
সামনে বায়ু গমনাগমনের জানালা
ঝকঝকে তকতকে টাইলস বা মোজাইকের মেঝে।


পাশের বেসিনের মাতৃগর্ভ ভেদ করে চলে
নিম্নগামী লেজুড়ে নল।
ধোয়া-মোছার পর জমা জল
সে নল বেয়ে যায় অজানা গর্তে!


মাছের কানকা-আঁশটে, মুরগির নাড়ি-নোখর, সবজির ছাল, ফলের খোসা
আর জমে থাকা বাসি ভাত-সালুনের
ঠাঁই হয় ফানেলের ন্যায় ঝুড়িতে।


র‍্যাকে সজ্জিত বাসনাদির সমাহার।
হেঁশেলের স্থলে দেখি গ্যাস-ফোয়ারার চুলা
ধোঁয়া-ধূলি, ছাই-ময়লার বালাই নেই
পাচক কিংবা রাঁধুনির স্থলে আছে বাণিজ্যিক বুয়ার
তেলেসমাতি রান্নার কায়-কারবার।

পাশেই ফ্রিজের কবরে কবরে শোয়ানো
মৎস্য কিংবা গবাদি পশু-পক্ষীর শবদেহ।
মাছ-মাংশের গাত্রে জন্মানো
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া হয় পোড়ানো
চুলার ফোয়ারা বেয়ে ওঠা বাদামি আগুনে।


তাতানো তাপে ফোটানো পানির কান্না উপেক্ষা করে
কলসি ভরে ঢালা হয় ফিল্টারের চেম্বারে।
দু’দিন কিংবা চারদিন পরে
ফিল্টার কিংবা কলসির তলে
অ্যালজি-ফাঙ্গাসের বিছানায়
শ্বেত-কৃষ্ণ পোকা কিলবিল করে!


পাশের ঝুড়িতে রাখা শাকসবজি-ফলে
দেয়া ফরমালিন আর প্রিজারভেটিভের বলে
মশা-মাছি অনাহারে মরে
তবুও টাটকা রয়ে যায় দু’কাল
গতর অবিকৃত রেখে!


ফরমালিন, ইথিলিন, কার্বাইডের প্রলেপে
খসে পড়ে এস্টার, ফ্রুক্টজের পলেস্তারা।
আপেল-আমলকির বেদিতে রাখা হয়
বোয়াল-মলার মমি।
দু’জনমের জ্যান্ত টমেটোর  স্বাদে
প্রতিনিয়ত দিশেহারা তুমি-আমি!