গত কয়েক দিন অভদ্র অসভ্য নির্লজ্জ বেহায়া এসব বলে গালি দিতে শুনেছি, একজন সদ্য হাস্যজ্জল ছেলে কে।
কারণ খুঁজতে গিয়ে আমি খুঁজে পেয়েছি এক
নেশার ডোম ঘর, যেখানে নিকোটিন এর গন্ধে সুস্থ মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসবে এক নিমেষে।
অথচ সেখানে থাকলেই নাকি প্রাণ ফিরে পায় শহিদুল এর মত অনেকে।
যে ঘরে সকাল দুপুর সন্ধ্যা, একাধারে টানা হয় গাঞ্জা,
বিভিন্ন কলাকৌশল প্রয়োগ করে, তার আবার নাম দিয়েছে সিদ্ধি,
তাই বলি সবাই তাকে কেন এমন বলে কেনই বা সে কারোর কথা শুনে না, কেনই বা তাকে কেউ মানাতে পারে না আর কেনই বা নেই ছিটেফোঁটা বুদ্ধি।
সেই তাকে আমি কিছুদিন আমার সাথে রেখেছি,
নিজে রান্না করে খাইয়েছি দিয়েছি ভালবাসার অন্য জগৎ,
মিশেছি তার সাথে বন্ধুর মতো দিয়েছি অনেক সাহস আর উদ্দাম স্বাধীনতা, বেশ ক'দিনে পেয়েছি আকাশ পাতাল তফাৎ।
জীবন সংগ্রামের পথে নেমে শূন্য উদরে দীর্ঘক্ষণ বেধে রেখেছি শান্ত না নামক পাথর,
সেই অভদ্র ছেলেটা আজ আমায় রোল এনে খেতে দিলেন, যখন রাত দুটো ক্ষুদার্থ থেকে আমি প্রায় কাতর।
সত্যি বলতে জন্ম কখনো মানুষকে অভদ্র বানায় না,
এর জন্য দায়ী অসুস্থ সমাজ আর যন্ত্রণা যা পায় অবহেলার ছলে,
তাতেই গড়ে উঠে সমাজে উচ্চবর্গের উচ্চ বিত্তের মাথা ঠেঙ্গিয়ে কত অভদ্র ছেলে।