একটা চাষী দেখলে পাখি ভীষন রেগে যেত
কারণ পাখি এসে খুটে ক্ষেতের যে ধান খেত।
ভাবল পাখি নিধন যদি করতে না সে পারে
তবে সকল শস্য পাখি খাবেই একেবারে।
কেমন করে গোলায় তোলা হবে ক্ষেতের ধান
ভেবেই বুকের ভিতর কেঁদে উঠল চাষীর প্রাণ।
চাষী যদি তাড়ায় পাখি কে তার কথা শোনে
খুঁজতে থাকে চাষী উপায় নিজের মনে মনে।
সেই চাষী তাই সকল পাখি ধরতে পাতে ফাঁদ
কেমন করে জানবে পাখিরা এই দুঃসংবাদ।
খেতে এল যখন আবার পড়ল ধরা তারা
বলল চাষী থাকবি খাঁচায় পড়বি না কেউ মারা।
ভাবল চাষী এবার থেকে সকল ধানই পাবে
খাঁচায় যখন পাখি তখন কে তার ধান খাবে।
পরের বছর ধানের খেতে হল যে খুব পোকা
চাষীর হাতে উপায় ছিল না পোকাদের রোখা।
চাষী ভাবে কারণটা কি, এত পোকা এবার?
কেউ ছিল না চাষীকে সেই প্রশ্নের জবাব দেবার।
চাষীর চিন্তা দেখে খাঁচার পাখি হেসে মরে
ধানের খেতের পোকা যত আমরা খেতাম ধরে।
নেই আমরা দেখেই এবার পোকা গেছে বেড়ে
সব পোকাদের করব কাবু দিক আমাদের ছেড়ে।
ভাবল চাষী আর পাখিদের কেন ধরে রাখি
খাঁচা খুলে বলল উড়ে যা তোরা সব পাখি।
পাখি উড়ে গিয়ে ক্ষেতের সকল পোকা খেল
দুদিন যেতেই ক্ষেতের সকল ধানগাছ প্রাণ পেল।
চাষীর মুখে ফুটল হাসি ভাবল সে খুব বোকা
বুঝল এত দিন পাখিরাই খেত ধানের পোকা।
পাখি শুধু ধান খেত না করত উপকার
ভাবল পাখিদের কখনও ধরবে না সে আর।