আমি আকাশ, সমুদ্র বালিঝড়ের ;
খুব কিনারার কোণ কুড়েঘরের ;
জাদু চড়ের ; নীশাচড় হতে গিয়ে,
বাজপাখির থাবার অতঃপর খাবার হয়ে ;
কোন পুণর্জন্ম না থাকায় মরণ হয়ে ;
কোন এক নামমাত্র শায়েস্তাগঞ্জের হাড়ের কঙ্কাল হয়ে বেঁচে ফিরেছিলাম ভোর দুপুরে ;
আবল তাবল জামা পড়ে ;
সেই করে ফ্যাল ফেলিয়ে চেয়েছি,  
ক্ষুধায় আবার খাবার না পেয়ে ;
বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি,
বারবার ঢোক গিলেছি,
এভাবে হাজারো স্বপ্নের শেষে ;
এই আবল তাবল যে শুধু স্বপ্ন ছিলো ;
চোখ খুলে তাই শিখেছি.....


আমি গভীর অরণ্যে ; না খুজে আমাকে ; মাঝেমাঝে বিলাসিতার ইট-পাথরের ঘা সয়েছি,
আমি অফুরন্ত দিন মজুর হয়ে ;
হাতুড়ির পিষ্টে আমার আঙুল শুইয়েছি ;
আমি ভাষাহীন হাজারো কাব্যর ;
সম্ভাব্য শ্রুতি হীন আসর বুনেছি ।


আমায় বলা হয়েছিলো একটি দেশাত্ববোধক গানের লিরিক লিখতে,
নামী-দামী ব্যান্ডের জন্য সুন্দর কিছু ছন্দ শিখতে,
বিশ হাজার পারিশ্রমিকের সুন্দর সুন্দর কথা খুজতে ;
কিন্তু বিশ্বাস করেন ; তা আমি পারিনি।
আমি দেশ প্রেমের গানের লিরিকের পিছে সময় দিয়ে ;
একদিনে ৩ বার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ;
আরও একবার দারুণ একটা নারী প্রেম রচে ফেলেছিলাম ;
হ্যা এটা আমার দূর্ভাগ্য হলেও সত্য ;
আমি বিশ হাজারের পরিণাম ঠুকরে ;
বর্ণিল হাজারের কলঙ্কে পঁচে ছিলাম।


আমি অবগাহনে ঝর্ণায় ;
বারো মিশালী কতো গান ধন্যায় ভিজিয়ে ছিলাম।


আমি শেষ হয়ে গিয়েছিলাম ;
আবার আরম্ভ হয়ে ছিলাম,
আমি রঙ বেঁচতে পারিনি,
গোটা কৌটা নিয়ে ঘরে ফিরেছিলাম ;
আমি আমার আনন্দকে কারো অপেক্ষায় গুড়ি করে ভিজিয়ে ভেবেছিলাম।


আমি অসমান্য ফূর্তিতে গ্রাম ও শহর জপেছিলাম।


আমি মেপেছিলাম কেজিকে লিটারে,
তেলকে ফিডারে ;
আমি শূন্য থেকে বহিষ্কার হয়ে ;
জন সমষ্টির আবল তাবল গালি খেয়ে
স্বপ্নে পাওয়া গুলিছাড়া বন্ধুক নিয়ে বাড়ি ফিরে ছিলাম,
আমি শেয়াল আটকানোর ফাঁদে ধরা পড়ে ছিলাম,
অথচ আমার এই আবল তাবল গন্ডোগল বোঝাপড়া শুনে ;
অনেকে বলেছিলেন - বাহ,  কি সুন্দর !