আমি দেখলাম ;
সারাটা দিন তপ্ত রোদে কালো ছাতা হাতে;
বৃষ্টির অপেক্ষায় ;
আমি কোন বন্ধ টংঘরের সামনে আছি দাঁড়িয়ে।
মাঝে মাঝে চোখে ধুলো- বালি লেপ্টে যায়,
অথচ আমি একই জায়গায় থাকি দাঁড়িয়ে,
গাড়ি, সি.এন.জি, বাস, রিক্সা;
দেখতে দেখতে ছোট ছোট হয়ে ফুরিয়ে যায়,
অথচ আমি একই জায়গায় থাকি দাঁড়িয়ে।
যখন কাকগুলো এসে আশেপাশে খুজে; ঠোটে পানি লয়,
আমারও পেয়েছিলো খুব পিপাসা;
তখনই আমার খুব মনে হয়।
হঠাৎ শুরু হয় ঝড়,
দৃষ্টি হারায় সব লোকালন্তর,
বাস স্ট্যান্ডের খুঁটি আঁকড়ে ধরে
আমি কাটিয়ে উঠি সেই মন্বন্তর।
ঝড় শেষে তাকিয়ে দেখি সঙ্গে নেই,
আমার কালো ছাতাটি;
পাগলের মতো খুজতে থাকি;
আশেপাশে করে হাঁটাহাটি।
নিরাশ হয়ে আমি যখন ;
ফুটপাতে বসা,
এক সি.এন.জি এসে দাড়িয়েছে ;
আমার সামনে
পাশ্বস্থদিক থেকে আমি দেখি;
কোন নারীর পদ অগ্রচরে পড়ে আছে আমার কালো ছাতা।
মেয়েটির মুখপ্রানে চেয়ে আমার বেশ চেনা মনে হয়;
কিন্তু আমার সকল প্রশ্নে সে বলে - না,
ধীরকন্ঠে মনোযোগে শুধাই - তুমি কি রিয়া?
মেয়েটি বলে 'না'।
এরপর আগে পিছের নামটি বলি;
তুমি কি 'রায়মা রিয়া'?
মেয়েটি বলে - "না"


চক্ষু ইশারায়; ছাতার কথা শুধাই,
মেয়েটি বলে "হ্যা"
তবে রোদে তোমায় আরাম দেয়া;
কালো ছাতাটিই আমার পছন্দ,
কিন্তু তোমাকে নয়।
কথাটি বলে - 'রাইমা রিয়া'
আমি রেগে গিয়ে বলি-
তবে ভালোবাসার জন্য কেনও করতে বিরক্ত?
রিয়া বলে - 'আমি ভালো সময় কাটাতে আসক্ত'।
আমার ছাতাটি নিয়ে চলে যায় রিয়া,
আমি ভুলে যাই তার ছলনা
এরপর নিজেকে ভিজিয়ে নেই; তপ্ত রোদে,
যেখানে ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম
আবেগী বৃষ্টিতে ভিজবো বলে,
সেখানে বিশ্বাস করতাম একদিন সে সুযোগ আসবে বলে,
আজ সত্যিই সে সুযোগ এলো,
তবে আবেগের বৃষ্টিতে দুজন ভিজবো বলে নয়,
চক্ষু বৃষ্টিতে অঙ্গ ভিজানো বৃষ্টি,
তাতে তোমার কি!
তুমি তো ভালোবাসো রঙিন চশমা পড়ে,
তাই প্রয়োজন ফুরাতেই তোমার কাছে আমি অন্য কেও।