প্রেম জিনিসটা হলো মানুষের জীবনে স্লো পয়জন  এর মতোন,
সাধারণত একটা নির্দিষ্ট বয়স হতে মানুষ আবেগপ্রবণ হতে শুরু করে,
একটা নির্দিষ্ট বয়স হতে একটা রঙিন আবেগ পালতে শুরু করে প্রেম প্রত্যাশি ছেলে মেয়েরা।


প্রেম ব্যাপারটায় মানুষ স্ব-ইচ্ছায় অথবা স্রোতে গা ভাসাতে পড়ে যায়,
সৃষ্টিগত দিক থেকে পুরুষকে নারীর প্রতি দূর্বল এবং নারীকে পুরুষের প্রতি দূর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে,
অর্থাৎ একজন আরেকজনের পরিপূরক।


প্রেমকে বিশেষায়িত করে বলতে গেলে অনেকটা প্রিয়জন বা প্রয়োজনের দ্বিমুখী সম্পর্কগুলোকে বলা যায়।


প্রেমে পড়লে  বা প্রেমে নিজেকে গড়লে মানুষ অনেক ভোলা হয়ে পড়ে,
সে ভুলে যায় পাপ-পূর্ণ, ভুলে যায় সত্য-মিথ্যা, ভুলে যায় ভবিষ্যৎ আর ভুলে যায় ফলাফল।
একজন মানুষের পাকা প্রেম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তার জীবনের অঃধপতনের দিনক্ষণ শুরু হতে থাকে,


প্রেম ধনী-গরীব কাউকে ছাড়ে না।


কতো জন প্রেমিকের গল্প শুনে ছিলাম, কেও দরিদ্র, কেও মধ্যবিত্ত, কেও ধনী।


নিজের লেখাপড়া ছেড়ে কতো প্রেমিক কতো কর্ম অন্বেষণ করেছে শুধুমাত্র প্রেয়সীর সাথে ঘর বাধার জন্য, প্রেয়সির সুখের জন্য।

দরিদ্র প্রেমিক পথে পথে, দ্বারেদ্বারে ঘুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায় করে ; প্রেয়সিকে লেখাপড়া করিয়েছে, তার স্বপ্নের জাল বুনতে সহযোগিতা করেছে, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আবার প্রিয়জনকে এটা ওটা উপহার দিতে বাবার পকেট মেরেছে, বাজারের টাকা মেরে পরিবারকে সস্তায় আহার করতে বাধ্য করেছে। একই বই কেনার জন্য বারবার টাকা নিয়ে প্রেমীকে কিনে দিয়েছে খুশি!


মগজ তখন আপন রাস্তা মেপেছে, কারণ আবেগ যে ভাঙতে দেয় না আষাঢ়ে সব স্বপন।


খাওয়া, ঘুম, অবগাহন, লেখাপড়া, কর্ম, সবকিছুর সঠিক ভারসম্য কে নষ্ট করেছে?


হ্যা, প্রেমই করেছে।


আর শুধু তাই নাকি?
জীবনের লক্ষের ১২ টা বাজিয়েছে, পরিপক্ক অলস হতে সহযোগিতা করেছে,
বাবা-মা,  অভিভাবক,  শুভাকাঙ্ক্ষী'দের সাথে সুরভীত সম্পর্কগুলোর খুন করেছে।


অবাধ্য করেছে, অপ্রাপ্ত করেছে, অশালীন করেছে, অসামাজিক করেছে, অমানবিক করেছে,


কিছু সময় পর প্রেমের ঘুম ভাঙতেই, যন্ত্রকাতর মনটা শুধু আফসোস করে বলে - হায়, কি ভুল করেছি!  কিভাবে জীবন নষ্ট করেছি ; ক্ষনিকের মোহতে!!!


ছাত্রজীবন হারালো লেখাপড়া, কর্ম স্পৃহা হারালো বোঝাপড়া, নষ্ট হলো চেতনা, অপবিত্র হলো আত্মা, সতীত্ব হারালো সত্তা, আমানতের হয়ে গেলো খেয়ানত।  শত অজুহাতও হয়ে গেলো মিছে, হায় কি করেছি সব!  এখন এ ঘা শুকাবো কিসে!!!


ব্যার্থ হওয়ার পর মনে পড়ে যায় সতীর্থদের কলরব, যখন প্রেমে আহত ক্ষতের ঘা শুকালো না আর ; তখন হয়ে গেলো মস্তিষ্কের ক্যান্সার, তখন আর থাকেনা বিশেষজনের প্রিয় শোভা,


যে -প্রেমকে মধু ভেবে পান করে দেখে বীষ,
জাগতিক সব প্ররোচনায় তাকে খাটতে হয় সাজা।


সমস্ত সময় জুড়ে যাকে মনে হয়েছিলো সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন,
তারই মরণ সভায় মন করবে যতো হায় হায় আয়োজন.....