পূর্ণিমার আলো কতইনা মনোমুগ্ধকর
আমার মেয়ে ইকরা  সে অনেক বেশি সুন্দর
তারে দেখতে লাগে রাগি মনটা তার ভাল
এই জগতে সেই আমার আধাঁর ঘরের আলো।
স্কুলেতে যায় সে তাই মনটা আনন্দেতে ভরা
ভূমিকম্পের কথা চিন্তা করে থাকে মনমরা,
পাহাড়ঘেরা প্রকৃতি আর সকালের স্নিগ্ধ রুপ
আর তার প্রিয় হলো বৃষ্টি ঝুপঝুপাঝুপ।
রাজ্যের যত চিন্তা তার ঘিরে রাখে সারাক্ষন
সবারেই সে আপন ভাবে নিজেরই মতন,
দাদা-দাদী,নানা-নানীর আদরের নাতনি , থাকে বহুদূর
বাড়ির কথা মনে হলে মনটা করে ধুরধুর।
আনন্দে নেচে উঠে যদি পায় সে খেলার সাথী
সারাদিন নানা রকম খেলনা নিয়ে করে মাতামাতি,
লেখাপড়া করতে তার ভাল লাগেনা
সারাক্ষন চায় শুধু ছবি আকঁতে
নদী,পাহাড়,ফুল সূর্য় থাকে তাহার মনেতে।
ইদানিং সে কবিতা লিখে মনের মত করে
তার কবিতায় প্রাণ আছে পড়লে মনটা  ভরে,
বাড়ি যাবে বাড়ি যাবে ভাবে ঈদ আসবে কতদিন পড়ে
ঈদের সময় হলেই কেবল বাড়ি যেতে পারে।
এই যে সোনা আমার খাটি সোনা ইকরা তাহার নাম
সেই একদিন সব জয় করে কুড়াবে সম্মান
বাবা মার অতি প্রিয় সে পায় যত আদর
ইদানিং বেড়েছে তাহার  অনেক বেশি কদর,
মনে মনে ভাবে সে হবে অনেক বড়
ইকরা নামের অর্থই যে পড় পড় পড়।


বিঃদ্রঃ ইকরা আমার মেয়ের নাম। সে বায়না ধরেছে তার নামে একটি কবিতা লিখতে। বাবা কবিতা লিখে বলে সে কবিতা পছন্দ করে এবং কবিতা পড়ে শোনালে সে খুবই মজা পায়। এই কবিতায় তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আপনাদের সময় নষ্ট করলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যদিও তা কবিতার কাতারে পড়েনা।