একটা ভূত!
দেখতে কালো,
মাথা নাই,
হাত আছে।
আঙুলের নখ নাই
খামচাতে পারে না,
প্রতি রাতে
দরজা ভেঙে আসে,
এই বুঝি গলা চেপে ধরে!
ভয়ানক পানির পিপাসায়,
হাঁপিয়ে উঠে,
টর্চ লাইট যেই খুঁজতে যাবো,
ঐমনেই মনে পরে গেল।
ভূতের তো দেহ নাই,
ছায়া আছে,
মায়া নাই।
টর্চের ভিতরেই কি তবে ভূত?
ধরতে গেলে টুটি যদি চেপে ধরে?
ভয় বাড়ে,
পানির পিপাসাও,
কম্পন ছড়িয়ে যায়,
বিস্তৃত দিগন্তের মত,
ভূমিকম্প মনে হলো!
মাটি না কেঁপে কেন আত্মা কাপে?
আলোতে ছায়া সরে,
ছায়াতে কালো কায়া নিয়ে ভূত নৃত্য করে,
আলো দিবো?
কি অদ্ভুত!
আজ সেই আলোর অভাব!
দশ বছর আগে,
যে দিন আলো নিভিয়ে,
পরিণীতার টুটি ফুলে ছিল।
অন্ধকারে সেই ভূত আমার ভিতরে,
ভরে করে,
সকল আলো নিভিয়ে দিলো।
সেই আলোর অভাব,
আজ সেই আলোর অভাব!
আলোর অভাবে,
পানির পিপাসা বাড়ে।
ভূত ভয় পেয়ে টর্চের কোন এক কোণে,
মন্ত্র জপে,
ধরতে গেলে মটকে দিবে।