আমাকে ঠিক অভিমানে মানায় না-
যে চড়াই পাখি ছবি তোলার আগেই ফুরুত মারতো
এখন সে অভিমানে আমার জানালায় বসে থাকে
আমার কেন সময় নেই ওকে ফ্রেমে বন্দীর!


আমাকে ঠিক অভিমানে মানায় না-
রামধনু কাঁকন কি অবলীলায় ছুড়েঁ ফেলেছিলে
কাচেঁর টুকরো টুকরো কণায় হৃদয় করেছিলে রক্তাক্ত,
পাজারো গাড়ী থেকে নাম ধরে ডাকলে সেদিন
গাল ফুলিয়ে বললে-তোমার ফোনে সাড়া দিই না কেন?
সে কি অভিমান তোমার, আমি ঠিক অভিনয় করতে পারিনি!


আমাকে ঠিক অভিমানে মানায় না-
যে নদীর তীরে গোধূলী লগ্নে কত সময় কাটিয়েছি
সেই নদীও ঝিরি ঝিরি বাতাসে ঢেউয়ে কাছে আসে
অভিমানে আছড়ে পড়ে, ওর শরীরে আমার ছায়া-
ঠিক আগের মত পড়ে না কেন, প্রশ্ন নদী’র?
বলেছি ভালোবাসার ‘প্রেয়তী’ নেই যে আমার সাথে।


আমার সময় কাটে নিরেট মন আনন্দে
আগাছা ভরা জংলায়, যেখানে নিড়ানি পড়ে না
সেখানেও কষ্টে যে হলুদ ফুল ফুটে
আমার কাছে সেটাই বেশী ভাল লাগে
ব্যস্ত সময়ে ভুলে গিয়েছিলাম চারপাশ, নীলিমা মেঘ
আমায় ছুঁতে দিগন্তে মিলায়, হাতছানি দিয়ে ডাকে
আমি এখন অভিমান করি ভালোবাসায়, নিজের সাথে নিজের।