প্রদীপের আলোর নীচে অন্ধকারাচ্ছন্নতা
আমার হিংস্র জিঘাংসার জন্য যথেষ্ট,
জেগে ওঠে পরাণের গহীনে অন্য পুরুষ
নখের আঁচড়ে এলোমেলো নির্দোষ মৃত্তিকা,
বৈপরীত্য ক্যানভাসে ছুড়ে মারি রঙের দলা
গভীর অন্ধকারে ঢেকে যায় কারো কারো জীবন,
টিফিনের বাটিগুলো ঝনঝনিয়ে ফুটপাতে গড়ায়
শৃঙ্খলা বাহিনীর থাম্বসআপে একাত্মতার জয়,
পত্রিকার পাতায় ছাপে পঙ্কিল জীবনের দুর্দশা
মিছিলের একতাবদ্ধ হাত, গতিময় পায়ের শব্দ শৃঙ্খল,
পুতুল নাচের ইতিকথা শুনি বার বার হাতের মুদ্রায়
আদালতে নির্দোষ প্রমানিত হই প্রতিবার।


প্রত্যুষে কড়া পারফিউমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে
দেবতার আসনে স্তুতি বাক্যে সভ্যতার ধারক হই।
কফির টেবিলে হাই হিলের ছন্দ জোড়া চোখে, চোখ,
সমাজসেবায় ছড়িয়ে যায় আলোক দ্যুতি সর্বময়
কত শত মঞ্চে গলায় মাল্য পরি নীতি বাক্য বয়ানে
মুহ মুহ করতালিতে আলোকিত মানুষের ক্রেষ্ট নিই।
শহুরে বাতির অন্ধকারে মুখোশ খসে অমাবস্যায়
জাগিয়ে তোলে ধ্বংস করার মনোবাসনার পূর্ণ সনদ।
প্রতিদিনই আদালতে নির্দোষ প্রমানিত হই বারংবার
ভালোবাসার আদালতে হারমানে হিংস্র মনবাসনা
সভ্যতার চাদরে কবিতা উষ্ণতার রঙ ছড়ায় ।