আমি আজকাল আর স্বপ্ন দেখিনা,
কিছুদিন আগেও প্রতিনিয়ত ঘুম থেকে জেগেই
তারা আমাকে ক্ষণে ক্ষণে তাড়া দিয়ে যেতো!
ইদানীং কেন যেন তাদের আসা যাওয়াটা কম,
হয়তোবা কৃষ্ণপক্ষের ডানার ভেতর আটকা পড়েছে!
কিংবা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে বিষাদের কালো ছায়ার গহীনে!
তবে যেদিন স্বপ্নের কবর থেকে
বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে দোযখের ঘ্রাণ,
সেদিন থেকেই ধরে নিয়েছি,
বিদ্বেষের বিষ খাইয়ে হয়তোবা তাদের মেরে ফেলা হয়েছে!


যেখানে-
সতেরো কোটি ক্ষিধে ঘুমোয় উলঙ্গ রোদে,
লোভাতুর হাতুরি পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয় সাম্যের দেয়াল,
অসুস্থ ইচ্ছাকে দায়িত্ব দেয়া হয় দারিদ্রের দেখাশোনায়,
শিশুসুলভ আস্থায়, জনতা গিলে খেতে বাধ্য হয় বিরক্তিকর শব্দ,
অক্ষমতাকে মর্যাদাবান খ্যাতির পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়,
মিথ্যাকে উপাদেয় খাবার হিসেবে, মানুষের কাছে নীখরচায় বিতরণ করা হয়,
কাঁচা ভাগ্য সেদ্ধ হওয়ার আগেই স্বৈরাচারের পেটে চালান হয়ে যায়,
স্বাস্থ্য-ঝুঁকিতে থাকা গণতন্ত্রকে, পতঙ্গে খাওয়া ছিদ্রের মতো ঝাঁঝরা করা হয়,
প্রতারণাপূর্ণ অনাচারী জালিমকে জনতার প্রভু বানানো হয়,
অচিন্তনীয় শোষণের ওড়না পেচিয়ে, মানবতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়,
বিড়ম্বনায় সঙ্কুচিত মানবাত্মার মুক্তির দায়িত্ব পায় ইবলিসের পাপাত্মা,
সেখানে স্বপ্নরা বেঁচে থাকে কি করে!
তারা এখন ঘুমিয়ে আছে,
৫৬ হাজার বর্গমাইলের একটি বিশাল সমাধিতে!