শিশুটির জন্ম হয়েছিলো অনেক বছর আগে
তাকে ঘিরে ছিলো অনেক স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা
বড় হয়ে সে সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে,
অপূর্ণতাকে মুছে অসম এক বিপ্লবে সে জয়ী হবে;
নিষ্পেষণের হাত থেকে বাঁচাবে মানবতাকে;
অর্জিত সম্মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে
সুনাম বয়ে আনবে নিজের জন্য এবং পৃথিবীর জন্য।


একদিন সে কৈশোরে পা দেয়,
লালসার আগুণে পুড়লো তার পুরো শরীর
অলঙ্ঘনীয় দুর্গপ্রাচীরের ওপারে তাকে
বিপ্লবের বিকলাঙ্গ চাদরে ঢেকে রাখা হয়।
পুষ্টির অভাবে দিনে দিনে হয়ে পড়ে
হাড় জিরজিরে এক বিকলাঙ্গ লাচার,
তার বিপ্লবের শক্তিটুকু খড়কুটোর ন্যায় ভেসে যায় বানের জলে;
হৃষ্টপুষ্ট কিশোর হয়ে পড়ে ক্ষীণকায় যেন
সারাক্ষণ মৃত্যু শুয়ে থাকে তার কোলে।
অন্ধকারের আলিঙ্গনে বেঁচে থাকে আয়ু ক্ষয়ে
বৃদ্ধের ছাপ পড়ে পুরো শরীরময়,
নিষ্ঠুর নির্মম রসিকতায় তার দুর্দশাগুলোকে জিইয়ে রেখে
তাকে ঠেলে দেয়া হয় মৃত্যুর দিকে।
আসুন আমরা আয়েস করে সেই কিশোরের মৃত্যুর প্রহর গুণি!