প্রাগৈতিহাসিক স্বপ্নকণাগুলো প্রায়ই হিম কণা হয়ে
আমার রোমকুপের ছিদ্রগুলো ঢেকে ফেলে,
আমাকে ঢেকে দেয় বিকলাঙ্গ বিপ্লবের চাদরে
আমার চেতনাবোধ আছে কিনা, নাস্তা করেছি কিনা
পরখ করতে হয় প্রায়ই হিমায়িত দহনে, বা চুল টেনে!
গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজনের নিদ্রা প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষার মতো
আমার বিধবা দ্রোহ ফণা তুলতে চায় প্রায়ই,
কিন্তু তীব্র দহনে বিদগ্ধ নগরীর বিলাপ আর আরষ্টতা
আমাকে এস্তেমাল করে দিনমান!


আমি সোৎসাহে রাত্রির মিছিলে যোগ দেই
তার হাত, ঠোঁট, উরু স্পর্শ করি,
কখনো ঢুকে যাই কোন ভগ্নপতিত বাড়িতে
কে বা কাহারা আমাকে গালাগাল দেয়, তেড়ে আসে
আমার বেখেয়াল নিদ্রার মতো আমি পালাই।
অথচ পরম যত্নে তাদের থরে থরে সাজিয়ে রেখেছিলাম আমি,
গোধুলির সঙ্গমের মতো, এখন তারা মৃত, প্রেতাত্মা
আমাকে ভয় দেখায় মৃত্যু কিংবা গহীন কোন নির্জন অরণ্যের,
আমি মৃতপ্রায় স্বেচ্ছাবন্দি, আটকে থাকি সেই জালে।