মুর্খ আমি গাঁয়ের চাষা, রক্ত  পানি করে
সবার মুখে অন্ন তুলি,   রোদ বৃষ্টি ঝড়ে।
আপন নেশায় কর্ম করি, জোগাই পেটের ভাত,
চাষের জমি ছেলে পুলে, নাই কোন তফাত।
শশা  বেগুন আলু পটল,  ফলাই  সাধনায়,
রোগ বালাইয়ে ফলন নষ্ট, খরচ তোলা দায়।
আমি  বেচি বস্তা দরে,  মুনাফা  খায়  কারা
মধ্য ভোগীর পাল্লায় পরে,  আমি  সর্বহারা।
মায়া কান্না মেকি দরদ, দায়সারা সব ভান,
আমার তরে প্রসব করে,  অতিশয়  মহান।
ঝড় দুর্যোগ বিপদ কালে, চাষীর প্রণোদনা
বারো ঘাটের বিলি বন্টন, আমার জোটেনা।
ছেলে পুলে চাইনা আমি, করুক চাষীর কাম,
বিদ্যা শিক্ষায় বড় হয়ে, করবে দেশের নাম।
স্কুল কলেজ পার হয়েছে, দিছে বড় পাশ,
দুঃখ কষ্ট ঘুচবে ভাবি,  মিলবে  অবকাশ।
নানা জাতের কোটার ভীরে, ছেলে আজ বেকার,
চাকরির পিছে ঘুরে ঘুরে, চাকরির বয়স পার।
চাষীরতো নাই চাকরি কোটা, মামু খালুর জোর,
মনের কষ্টে ছেলে আমার, পায়না কোন দোর।
দেশের চাকা সচল রাখতে, জীবন করি তয়,
ছেলের তরে সাহস জোগাই, করোনা আর ভয়।
বিদ্যা বুদ্ধি আছে যখন, কিছু একটা হবে
চাষার ছেলেই আজন্ম পাপ, ধরে নিলাম তবে।
ছেলে বলে বিদেশ যামু, দাও বাবা টাকা
বিদেশ গিয়ে ঘুরিয়ে দিমু, সংসারের চাকা।
কিছু জমি বিক্রি করে, বিদেশ পাঠাই তারে
ছেলে আমার কামলা খাটে, বিদেশ থাকে পরে।


[ক্ষোভ ও তাচ্ছিল্য প্রকাশ করতে গিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের “কামলা” শব্দটি ব্যবহার করার কারণে ক্ষমাপ্রার্থী]