আমরা যা চিন্তা করতে চাই,
তা কি আমরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারি?
নাকি ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায়, সুন্দর অসুন্দর, স্বাভাবিক অস্বাভাবিক
এগুলো কেউ আমাদের ভাবতে শেখায়?
তা না হলে, যা স্বাভাবিক নয়,
তা স্বাভাবিক ভাবা মস্তিস্কটি স্বাধীন সত্ত্বা হয় কি করে?
শত অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার নিজ চোখে দেখার পরও
মানুষের মধ্যে কেন প্রতিক্রিয়া হয় না?
তাহলে মানবতার জন্য চিরকালীন ন্যাহ্য ধারণাকে মুছে দিয়ে
সেখানে এমন চিন্তার ধারণাটি কি কৌশলে গেঁথে দেয়া হয়েছে?
অগ্রাহ্য করার প্রবনতাটাই কি মানুষকে ভাবতে শেখানো হয়েছে?
নাকি সব কিছু মুখ বুজে
মেনে নেয়ার মন্ত্রে মানুষ দীক্ষিত হয়ে পড়েছে?
যা অমানবিক হিসেবে চিহ্নিত
তা কি কারণে আজকের সমাজে একেবারেই মানবিক ও স্বাভাবিক?
রাস্তার ধারে আলু-পটল বিক্রেতা, ফেরীওয়ালা, ঝাড়ুদার, সুইপার, ডোম কিংবা
ডাষ্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খাওয়া মানুষটাও নাকি রাষ্ট্রের মালিক!
রাষ্ট্রের মালিক যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় চাকর নিয়োগ দেয়
সেই চাকরেরা সারা পৃথিবীতে মালিকের সাথে কি মধুর ব্যবহার করে,
কাউকে তা বুঝিয়ে বলার দরকার আছে কি আজকাল?
সেই চাকর যখন রাস্তা দিয়ে যায়,
তখন চাকরের নিরাপত্তার জন্য
মালিককে পিটিয়ে সরিয়ে দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করা হয়!
সেটিও কি নাগরিকের স্বাধীন চিন্তার অংশ?
চিন্তার পরাধীনতাই কি বিশ্বব্যাপী শোষণের হাতিয়ার?
----------------------------------
আগাগোড়া মানবতার চাদরে মোড়ানো দুর্দান্ত সব কবিতা নিয়ে প্রতিদিন আসরকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন, আমার খুবই পছন্দের একজন মানুষ, কবি শ্রী শ্রী গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়। তাঁর চিন্তার পরিধি ও ব্যপ্তি এতোটাই গভীর যে, আমি আশ্চর্য হয়ে কবিতাগুলো পড়ার চেষ্টা করি এবং পুলকিত হই! আমি এই বিজ্ঞ ও গুণী কবির সুস্থতাসহ দীর্ঘায়ু কামনা করে আমার আজকের এই ক্ষুদ্র লেখাটি তাঁর সম্মানে উৎসর্গ করছি।