চলে যাবো কোন একদিন
থেকে যাবে এই বিস্তীর্ণ আকাশ,
আগের মতোই থাকবে সুদূর নীহারিকা,
গ্যালাক্সীর পেটের ভেতর
বিলিয়ন নক্ষত্রের ধূসর জোছনার হাটে
বিলি করা হবে অদূর পৃথিবীর ভাবনা!
খোশগল্প করতে করতে
টুকরো মেঘেরা হেঁটে যাবে দিগন্তের পাড়ে,
থেকে যাবে দিন এবং রাত্রির সাক্ষাতে-
সহস্যময় আলো-আঁধারী গোধূলীর সঞ্চার।
পাখিদের ঘরে ফেরার তাগাদার সাথেই
দক্ষিণের জোনাকী ভরা খোদাইবাগে রাত্রি নামবে,
পরিয়ে দেবে গা ছমছমে অন্ধকার চাদর,
জমকুলির ভয়ার্ত ডাকে ঘোষিত হবে রাতের প্রহর,
থেকে থেকে শোনা যাবে ডাহুকের ডাক।
ভেসে আসবে “আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম,”
আমতলার ফাঁক গলে দেখা যাবে ভোরের সোনাঝরা রোদ।
ভরা যৌবনে ভেদরের বিলে
আগের মতোই ফুটবে চোখ জুড়ানো শাপলার ফুল,
পাতায় পাতায় দেখা যাবে পোকা মাকড়ের মারামারি,
থেকে যাবে বক ও পানকৌড়ির জলকেলি।
কাঠালিয়ার তীর ধরে কেউ হেঁটে যাবে কাঠপট্টির দিকে,
এই ধানক্ষেত, মাটির গন্ধ, ধুলি উড়ানো সাঁঝের বেলা
সব থেকে যাবে আগের মতোই।
থাকবো না আমি, এখানে কোন একদিন,
এই দেশ, এই মাটির সাথে মিশে থাকা
আমার আজন্ম স্মৃতিরা হারিয়ে যাবে মহাকালের পথে!
-------------------------------------------------------------
১০-০৫-২০২২ইং তারিখে আমার বন্ধু কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদের “মৃত্যু মানে” কবিতাটি পড়ে মনে ভীষণ রকম আলোড়ন সৃষ্টি হয়। কবিতাটির গায়ে তেমন কোন রঙিন জামাকাপড় না থাকলেও তার ভেতরটা আমাকে নাড়িয়ে দেয়। তখন মাথায় আসে মৃত্যু নিয়ে কিছু লেখার আগ্রহ। আমার বর্তমান মানসিক অবস্থান এবং প্রেক্ষাপট দুয়ে মিলে হিসেবটা মিলে গেলে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করা। আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটি  বন্ধুর প্রতি উৎসর্গকৃত।