অনেক দিন তোর সাথে কথা হয়না,
যখন হিমাংকের নীচে আমি,
শুভ্র চাদর বিছানো আকাশের নীলিমায়
নক্ষত্ররা দেখাচ্ছিলো সেলাইয়ের কারুকাজ,
আহত বাক্যগুলো ফিরে আসছিলো অবলীলায়,
যেন দেয়ালে মৃত্যু ঝুলে থাকার মতো,
সেদিন আমি তোর অপেক্ষায় ছিলাম।


তুইতো ভালো করেই জানিস,
খাপছাড়া বিকেলগুলো ঝরে পড়ে প্রায়ই,
তোর দেখলেই ভুল হতে পারে,
এটি বৃষ্টিস্লাত কোন ভোরের টুপটাপ শব্দের
অসামান্য প্রকৃতির আবেদন,
আসলে তা না, এটি অ-বনেদী কোন পল্লীর আওয়াজ,
যেখানে দিন এবং রাত্রির মিলন স্থলে
ক্লান্তরা কাতরায়, অন্তিম নক্ষত্রটির খোঁজে
যে কবি বেরিয়েছিলো রাত্রির মিছিলে,
সেটি দেখলেও তোর দৃষ্টিভ্রম হতে পারে।


তোর মনে পড়ে!
বনেদী গলির মিছিলে বাম হাতকে চুঙ্গি বানিয়ে
তুই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতি?
তোর বক্তৃতার নোঙরে উঠে আসতো
সুসংগঠিত অতীত, ভবিষ্যতের পায়তারা,
ক্যানভাসারের গলার মতো ওঠানামা করতো
আর ফুলে ফুলে ওঠতো কণ্ঠনালীর শিরা,
পরাজিত রোদের মতো ছড়িয়ে পড়তো
চারদিকে, যেন স্বপ্নচারির বিলাপের মতো?
আমরা হাততালি দিতাম, সেই হাত
হাজারো বেলুন হয়ে উড়তো আকাশে।


এখন কিন্তু তোর মধ্যে সেই আগের মতো
প্রকাশ্যে চাঁদ দেখার স্বাধীনতা,
আকাশের ক্যানভাসে বিশাল অক্ষরে নিজের নামটি লিখে
তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে দেখা যায় না,
পাখির ভঙ্গিমায় ক্ষেতের আল মাড়াতেও আজকাল
কেন যেন তোর সযত্ন অনিহা,
স্বাধীনতার সংজ্ঞাটি যেন তোর কাছে বদলে যাচেছ
ইদানিং, অব্যক্ততাই যেন স্বাধীনতা।