আসিনি বিখ্যাত হতে, তোমাদের আসরে,
ভালোবাসি পবিত্রাত্মার কবি, কবিতা, শব্দের খেলা!
কেউ বলেন, কবিরা নাকি ঈশ্বরের দূত, তাই
মাত্রা জ্ঞানহীন বিচরণ করি তোমাদের শস্যক্ষেত,
ফুলে ফলে ভরে ওঠা তোমাদের কবিতার শরীরে!
তোমাদের স্বপ্নগুলি বহন করে আমি আনন্দ পাই,
আর হাঁটি, নিজস্ব সম্পাদ্যের উঠোনে!
আমাকে অ-কবি বলারও দরকার নেই,
কারণ, অ-কবির সাথে জুড়ে থাকে, কবি নামের শব্দের কারিগর!
তোমরা কবি, তোমাদের আছে বহুবিধ বিচরণের পূণ্যভূমি,
তোমাদের পদধুলির জন্য, অপেক্ষা করে থাকে কত প্রহর
তোমাদের পাবে বলে, ধন্য হয়ে যায় কত মিডিয়ার দ্বার!
আমার অখাদ্যের ঝুঁড়িতে
তোমাদের দেবার মতো কিছুই নেই কবি!
হুইটম্যানের গদ্যকাব্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের অভিমত-
“সাধারণ গদ্যের সঙ্গে তার কোন প্রভেদ নেই,
তবে ভাবের দিক থেকে, তাকে কাব্য না বলে থাকবার জো নেই৷”
এক কবি বলেছেন-
“কবির কাজ হলো স্মরণীয় বাক্য তৈরি করা।”
আরেক কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বলেছেন-
“প্রথাগত ছন্দ জেনে রাখা ভালো। কিন্তু তার দাসত্ব করা ভালো নয়।”
আমিও মনে করি-
“গদ্য কবিতা পদ্যের মতোই একটি স্বতন্ত্র ভাষাপ্রতিমা নির্মাণ!
গদ্য কবিতার প্রধান উদ্দেশ্যই গদ্যের মাধ্যমে কবিতার রস পরিবেশন করা,
পদ্যের কৃত্রিম বিন্যাস পদ্ধতিকে বর্জন করা,
অভ্যন্তরীণ গতি সঞ্চারের মাধ্যমে ভাবকে ফুটিয়ে তোলা,
একটা শ্রবণসিদ্ধ টানা ছন্দস্পন্দতা জাগিয়ে তোলা৷
গদ্য কবিতার চলনভঙ্গি সহজ, গতি তার সর্বত্র,
সে আধা ঘোমটা টানা কোন নারীর মতো নয়৷”
তবে জেনে রাখো কবি-
যে কবি ফ্যাসিবাদের দাসত্ব করতে গিয়ে, মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে,
অথচ রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়াতে পারেনা,
সে যত বড় কবিই হোক, আমি তাকে ঘৃণা করি;
যে কবি সতেরো কোটি মানুষকে ধারণ করে কবিতা লিখতে পারেনা,
আমি তাকে কবি হিসেবে মানিনা;
যে কবি নিজের লোভের চেয়ে দেশকে প্রধান্য দিতে পারেনা,
আমার বিচারে সে কবি নয়;
যে বাংলার সাতশত নদীর কল্লোল শুনতে পায়না,
সে বাংলার কবি হয় কি করে!
---------------------------------------------
বি.দ্র : এই লেখা একান্তই আমার ব্যক্তিগত কৈফিয়ত। আমার লেখা সম্পর্কে অন্তত আমি তাই মনে করি। তবে কেউ, বিখ্যাত কবিদের লেখার সাথে আমার অখাদ্য লেখার তুলনা করে, দয়া করে আমাকে বিব্রত করবেন না, বা আপনি নিজেও বিব্রত হবেন না বলেই আশা রাখি। আমার লেখা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বা ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিলে শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করবো। কিন্তু আমার লেখা কেন বিখ্যাত কবিদের লেখার মতো গুণগত মানের হয়না, এই কথাটি আমার জন্য বিব্রতকর। আমার আজকের লেখার মতের বাইরে বহু বহু মত আছে। সব মতের প্রতিই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধ আছে। বহু বিখ্যাত কবি-লেখকদেরও দুর্বল লেখা আছে। কিন্তু তাঁদের ভালো লেখার পরিমাণ বেশী বিধায় তাঁরা বিখ্যাত থেকেছেন এবং থাকবেন। এই আসরে কষ্টিপাথরে যাচাই করে লেখা প্রকাশ করা হয় না বলে, আমরা অনেকে এখানে লেখার সুযোগ পাই। এই জন্য বাংলা কবিতা.কম কর্তৃপক্ষকে সর্বদাই কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে থাকি। যারা প্রাজ্ঞ ও বড় মাপের কবি, তিনাদের জন্য অনেক প্লাটফর্ম আছে লেখা পাবলিষ্ট করার জন্য। আমি এই আসরকে শৌখিন কবিদের আদান প্রদান হিসেবেই আনন্দ লাভ করি।