জমিয়ে রাখা সামান্য কিছু সুখ,
আর বাকী পুরোটাই দুখ ব্যয় করে,
মৃত্যুকে পাহারা দিয়েই কেটেছিলো কুড়ি সালটা!
যারা বিধাতার বরাদ্ধের সামান্য কম পেয়েছিলেন,
তারা করোনার লড়াইয়ে হেরে গেলেন!
সামান্য বেশী ভাগ্য বরাদ্ধ পাওয়া আমরা,
প্রভুর এই মেহেরবানী খরচ করে, এখনো বেঁচে আছি!
কাঁচা ঘুম থেকে,
হতাশাকে ধাক্কা মেরে জাগিয়ে তোলা বিশ,
যেভাবে দুঃখ এবং অশ্রুর বোঝা কাধে বহন করে,
অজানা আতঙ্ক ও ভয়ের মন্থনে ঝুলছে;
সমবয়সী ঠান্ডাকে অস্বীকার করে
একুশ এগিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস করতে ভালোবাসি!
এই বিশে, আমরা সবাই, জীবনের ছায়াপথগুলিকে,
সারিবদ্ধভাবে, তাদের গতিপথে, ধরে রাখতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু কক্ষচ্যুত হয়েছে বহু নক্ষত্র!
উষ্ণতা হারানো আকাঙ্ক্ষাগুলি, ব্যথায় কুকড়ে যাওয়া
ফ্যাকাশে চোখে, ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে আসমানের দিকে!
তারা কি আসমান থেকে কিছু বাড়তি বরাদ্ধ মাগে! জানিনা,
তবে এটি জানি-
তাদের মধ্যে কারো কারো চোখ কখনই শুকায় না!