মঞ্জুর করা ভয়টুকু নিজের কাছে রেখে,
বাকী অংশকে মোটেই পাত্তা না দিয়ে, আবেগ দ্বারা নির্মিত
সুগন্ধি স্প্রে করে, আমি জাতে উঠতে চেয়েছিলাম!
কিন্তু সন্তুষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষারা যখন, একে একে পরাজিত হতে থাকে,
এবং উদ্বেগে, সত্যরা স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেয়,
তখনই আমার অনুভূতিগুলো,
দিনে দিনে নিস্তেজ হতে হতে, মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেয়!
অল্প খাদ্য, আর বাকীটা হতাশা খেয়ে পেট ভরার দিনগুলিতেও
অল্পকিছু জমিয়ে, ভিজিয়ে রেখেছিলাম দুর্দিনের আশায়,
সেখানেও লেগে আছে মরার খরা!
স্বচ্ছল ও সচেতন জীবন দেখার প্রকল্প হাতে নিয়ে,
বিশাল জলধির মাঝে, বিরক্তিদের অবগাহনের স্বাক্ষী আমি;
পেত্নীর কায়-কারবার দেখতে দেখতে,
বিশ্বাস বিভ্রমের প্রায়শ্চিত্ত করতে গিয়ে,
অসহায় হয়ে পড়ে আমার অকার্যকর অক্ষর!
তাই দেখে, নীতিবোধের তাকের ওপর জমিয়ে রাখা রসিকতাগুলো,
হুড়মুড় করে পড়ে ঠিক আমার মাথার ওপর!


যখন জালিমের নির্মম অত্যাচারে-
একজন মোস্তাক আহমেদের নির্মম হত্যা, কিংবা একজন কিশোর
যৌনাঙ্গে ইলেকট্রিক শকের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে,
প্যান্টে হাগু করে দেয়ার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,
তখনও আমার ভেতর, যাররা পরিমাণ কোন প্রতিক্রিয়া হয় না!
কারণ, এই যে আমি,
একটি মৃতপ্রায় অস্তিত্বের মিছিলে ভুক্তি ছাড়া আর কিছুই নই!