আমি প্রতিবার জন্ম নিয়ে, জীবিত পুনর্জন্মের ভেতর
একটি প্রস্থানকে খুঁজে চলেছি অনন্তকাল ধরে!
বিশ্বাস খচিত, একটি প্রতীক ছিড়ে ফেলে দিয়ে,
তিক্ত ঘৃণার অনুভূতিতে ভরা, একটি ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে,
প্রস্থানটি হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে
হারিয়ে যায়, কোন দূর নক্ষত্রের সীমানায়!
অথচ আমি তাকে-
জ্বলন্ত সূর্যের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য,
প্রতিদিন একটু একটু করে, জমা করে চলেছি জীবন্ত ছায়া!
যে রাতে চাঁদ, চন্দ্রগ্রহণের কলঙ্কে পড়ে,
হারিয়ে ফেলেছিলো, তার রূপ যৌবনের সবটুকু স্নিগ্ধ আলো,
সেই আলোটুকু আমি কুড়িয়ে পেয়ে, লুকিয়ে রেখেছি আমার কুড়ের ঘরে!
আমার অপেক্ষার চোখের নীচে, কালি পড়ে গেছে,
প্রত্যাশার শরীর থেকে,
পাপড়িগুলো খুলে খুলে পড়ে গিয়ে শুকিয়ে গেছে,
প্রতিভাবান স্বপ্নগুলি,
আত্মার প্রতারণামূলক কৃপণতার কাছে, জিম্মি হয়ে পড়ে আছে,
তিক্ত ছায়ায়, ভিজে চলেছে জীবনের প্রতিটি প্রহর,
প্রতিনিয়ত মৃত্যুর আওয়াজ,
জীবনকে এনে দেয় উপহাসের তরতাজা খোড়াক,
তবুও আমি তাকে, অদ্যাবধি খুঁজে চলেছি হাজারো নক্ষত্রের ভিড়ে!
তাকে খোঁজার পথে, অন্ধকার বিনষ্টযোগ্য আলোর প্রবাহে,
বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিছু কুৎসিত মেঘ!
শুধু তাই নয়, আজকাল আমার নিঃসঙ্গ জীবন দুয়ারের সামনে,
চিরস্থায়ীভাবে আবাস গেড়ে বসে আছে, জ্বলজ্যান্ত এক অভিশাপ!