আমার আহত বাক্যগুলো
উদোম অরণ্যে খেলা করছিল
আর সংগঠিত হচ্ছিল স্বপ্নের শুভ্র চাদর;
কিন্তু পরাজিত রোদ্দৌর থেকে মরিচিকা
সেখান থেকে উদ্বাস্তু জননীর খোঁজে,
ঘরে ফেরেনি আজও অন্তিম সায়াহ্নে।


এই যে কান্নায় ক্লান্ত একটি বিরল বিকেল
এখানেও বাক্যগুলো খোল-নলচে হারিয়ে বসে আছে,
কারো ক্লান্তির চোয়ালে হাত, কারো হাত থেকে খসে পড়ে কাস্তে,
সেই যে কবেকার মৃত্যুকবলিত অরণ্যের হাতছানি,
সেখানেও আজকাল ভ্রান্তির জীবন্ত ছায়া।
যেখানে পুরো  আকাশটাই ঝুলে আছে মুত্যু হয়ে
যেখানে নক্ষত্রের সেলাই করা চাদর গায়ে অতীত,
যেখানে স্বপ্নরা সাঁতরায় মন্ত্রোচ্চারণের সুরে,
সেখানে কি করে ধরে নেব
উদ্বাস্তু জননী আপনা আপনি ফিরে আসবে আপন কুলায়?


ধরিত্রী আলগা করেছে শিথিল নোঙর
শকুন শানাচ্ছে ক্ষুব্ধ নখর, নিয়ত পাল্টাচ্ছে অন্তিম মিছিল,
খাপছাড়া সান্তনার মৃত্যুকবলীত অরণ্য ধেয়ে আসছে,
ধেয়ে আসছে নিকট অতীত কবলিত ক্ষয়ে যাওয়া আলো,
দিশেহারা, উদ্বাস্তু জননীর খোঁজে;
আমার জননী,
নিজ উপত্যকায় উদ্বাস্তু।