আজকাল নগরীর চোয়ালে
ঢুকে পড়েছে এক ঝাঁক ধূর্ত শেয়াল!
আমার প্রাণের স্বাধীন নির্মল সবুজ ক্যানভাস-
যেখানে আমরা নির্ভয়ে স্বপ্নের ছবি আঁকি,
সেখানেও ইদানিং শকুনের আনাগোনা।
ইট-পাথুরে ব্যস্ত নগরের আটপৌড়ে বিমর্ষতায়
নিঃসঙ্গ অস্তিত্বহীন শুয়ে আছে একাত্তরের সভ্যতা,
উৎকট আবর্জনা আর দুষিত আহার গিলে গিলে
দেশময় বর্জ্যের স্তুপ।
অথচ যেখানে একদিন, পাখির অভয়ারণ্য ছিলো,
ছিলো মুক্ত দিগন্তে হারিয়ে যাবার আকাঙ্খা,
এখানে একদিন নদীর স্রোত ছিলো,
ছিলো দিগন্ত ছোঁয়া সোনালী সকালের হাতছানি।


অথচ আজকাল-
চারদিকে প্রেতাত্মার বিদ্রুপ,
পদলেহী নকল শোকের উৎযাপন।
যারা মরে যায় আবার জন্ম নেয়ার জন্য,
সেই সব উত্তরসূরী ঘুমিয়ে আছে
মুখোশ পড়া বিভাজন রেখার বিবর পাদদেশে!
অথচ আমি হাতড়ে বেড়াই অহেতুক
দেশময়, একটি বিবর্ণ পতাকা হাতে!
------------------------------------------
বন্ধুদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। মাঝে-বিয়ালে এক আধটা অখাদ্য জমা দেই। আমার প্রিয় কবি বন্ধুগণ ধৈর্য ধরে আমার অত্যাচারটি সহ্য করেন, উৎসাহমূলক মন্তব্য দেন। কিন্তু আমি অভাগা সেইসব মন্তব্যের উত্তর দেয়াতো দুরের কথা, পাতায় আর সহসা আসতেই পারিনা। আমার বিশ্বাস বন্ধুগণ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আজকে আমার প্রাণের দেশটির জন্মদিন উপলক্ষে অবশ্যই ভালো কিছু নিয়ে হাজির হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কানা রাইতে আবারও তড়িগড়ি করে যেনে তেনো একটি কুখাদ্য নিয়ে বন্ধুদের দরবারে শামিল হলাম। দেরিতে হলেও আমার এই দেশটির ৫০ বছর বয়স পুর্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দেশ-বিদেশের সমস্ত বন্ধু এবং এই পোর্টালের এডমিন, কলাকুশলীসহ সবাইকে বিজয়ের সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।