অনিদ্রার বেসামাল যন্ত্রণা শেষে
                   যখন চোখ দুটো বুজে আসে
আমাকে ঘুমাতে দেয়না স্মৃতির কোরাস
বাগানে পাখিরা তুলেছে সুর বিবিধ লয়ে
এতো ভোরে কাঠঠোকরারও ভেঙেছে ঘুম!
           নিরবিচ্ছিন্ন সঙ্গীতে দিয়ে যায় তাল
সামান্য বাতাসে শুরু হয় পাতাদের বিরহগীতি
বৃষ্টির আভাস দিয়ে বাজে মেঘেদের গর্জন
গেলো রাতের বর্ষণে নদীতে বয় সশব্দ স্রোত
তারই বুকে মাঝি এক কন্ঠে তোলে ভাটিয়ালী
আমাকে আকড়ে ধরে জীবনের সিম্ফনি
বলে ‘মুক্তি নাই কবি
           তোমাকে লিখতে হবে আমার স্বরলিপি
শহুরে ব্যস্ত জীবনে শিল্পের আড্ডায়
                                  নতুবা কী ভাবে পৌছাই’
আমি ভাবি কোত্থেকে করি শুরু-
ডিমের খোলস ভাঙার শব্দ না হারায়
                                 পক্ষী ছানার প্রথম গানে
মাঝির একটানা বৈঠার তান
বরশিতে ধরা পড়া মৎসলেজে ব্যথার গান
টুপ করে মাটিটে লুটালো পাকা ফল
                    যে শব্দ-গন্ধে ছোটে পিঁপড়ার দল
কোনোটা বাদ যাবে নাতো, লঘু অথবা গুরু
অবশেষে শুরু হয় প্রায়শ্চিত্ত আবার-
কবি হয়ে ছেড়েছিতো সব, ভুলেছি স্বস্তি
একে একে এঁকে চলি মুগ্ধতার জলছবি
কেউ কি আছো? আমাকে দেবে সঙ্গ
        এক সাথে গেয়ে উঠি জীবনের সিম্ফনি।


১২-৯-১৮ ।  রাত ৮-৩৪ ।  বাকৃবি