ক্রমাগত চলেছি আমি চূড়ান্ত অন্ধকারে
ওঙ্কারের ভেজা আনন্দে প্রথম আলোর দেখা
তারপর কতো দুঃখ যাপন স্ফুলিঙ্গ সুখের আগে
জননীর তর্জনী ধরে প্রথম পদবিক্ষেপ
তাঁর কন্ঠের অনুকরণে অকস্মাৎ শব্দপ্রকাশ
স্নেহের আঁচলতলে যাপিত শৈশব
পিতার পেছন পেছন আঙ্গিনা পেরুনো
কৈশোরের উচ্ছলতা, যৌবনের উন্মাদনা!
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের ভেদ—
সম্পর্কের ভাঙ্গা গড়ায় পরিণত বোধে উত্তরণ
এই জীবনবোধ আমাকে গড়েছে
জ্ঞানের সুড়ঙ্গপথে নিরন্তর ছুটে চলি
হৃদয়ের বুদ্বুদ ভাবনারা কাব্যে দেয় উঁকি।


একদা জীবনের পূর্ণতা খুঁজেছি প্রণয়ে
প্রেয়সীর কুসুমবদনে ছুঁয়েছি পূর্ণিমা চাঁদ
তারপর সংসারে ডুবে ডুবে শেখা বিচিত্র পাঠ
কন্যার আগমনে প্রাপ্তির বিষম খাওয়া ঘোর
আমি কি তবে শেষ করে ফেলেছি জীবনচক্র?
বিপন্ন অবসরে মৃত্যু ভাবনা দেখায় বিকট হাসি
বিচলিত না হলেও টের পাই আমি জীবন ভালোবাসি।


নগন্য অর্জনে ভরে না তৃপ্তির ঝুড়ি
সভ্যতা মনে রাখে না সামান্য কবিকে
পরিজন ভুলে যায় জয়ন্তীর তারিখ
পৃথিবীর ধূলিও টিকে থাকে প্রলয় অবধি
মৃত্যুর পর আমি হারাবো মাটির নীচে!
এ কোনো আক্ষেপ নয়, মরণকে স্মরণ
জন্মই যে হাতে তুলে দেয় মৃত্যুর পরোয়ানা।


জন্ম নিয়েই চলেছি তাই স্থির লক্ষ্যের পানে
জন্মতিথি সে সত্যকে বারংবার সমুখে আনে।


২৮-১-২০২১। রাত ৮-৪৫। সেনওয়ালিয়া