বসন্তমঞ্জরীর মতো তুমি আজো আরাধ্য সুন্দর
সেই কেশ উত্তরীয় হয়ে ঢেকে রাখে গ্রীবা
জোড়া ভ্রু দুর্বার আকর্ষণে টানে
ওষ্ঠাধরের অব্যক্ত আহ্বান হৃদয় করে সংলগ্ন
আজ বাইশ বসন্ত পরেও তুমি যেনো সদ্যজাত কবিতা
বেশ শিখে নিয়েছো প্রকৃতির চলন।


তোমার ক্রন্দসী বর্ষার রূপ দেখেছি
বৈশাখী উষ্মার সাথে বজ্রঝড় সয়েছি
শীতকাতর শরীরে লেপ্টে করেছি উষ্ণতা যাপন
তবে সর্বদা ভাবনায় উঁকি দেয় তোমার সমর্পন
ফাগুনবনের পীযূষবতী ফুলের মতো প্রতীক্ষা
তুমুল বসন্তদিনে হৃদবসন্তের পুলক আজো ভুলিনি।


এভাবে সময় গড়িয়ে এসেছে কতো বসন্ত
কতো মেঘ ঘুরেছে গগনদিগন্তরেখায়
কতো বৃষ্টি ঝরেছে শ্রাবণের একঘেয়ে দুপুরে
ঠিকই প্রতীক্ষা করেছি একটি বসন্ত দিনের
প্রণয়ের পৌনঃপুনিকতায় ভরা আমার স্বর্গীয়স্মৃতি।


আজ আরেক বসন্ত কড়া নেড়েছে হৃদয়দ্বারে
চলো তাকে উদযাপন করি নিজের মতো করে
বৈচিত্রপিয়াসী মনঘুড়ির সুতা দেই কেটে
আরেক বসন্ত আসা অবধি করে চলি প্রণয়ভাসান।


২৪-২-২০২১। রাত ৯-৫১। সেনওয়ালিয়া