আফশোষ আর অপেক্ষা ছাড়া কিছু  দিতে পারি না আমি তোমাকে।
লিখে রাখি হিসেবের খাতায় সব যোগ বিয়োগের দিন।
হাতের চুড়ি গুলো ক্ষয়ে এসেছে অনেক খানি,
তবু শব্দ দিয়ে জানান দেয়
রিন রিন, রিন রিন....


ধার দেনা জমে আছে নোনা ধরা দেওয়ালে।
ঝুরো বালি ঝরে সামান্য হাওয়া বইলে।
সিঁড়িতে পায়ের শব্দ পেলেই ততপর হয়ে ওঠে কেজো হাত।
জলফোটে সসপ্যানে, দু কাপ মাত্র চা, চিনি ছাড়া।
বাকি টা জমা থাক পরের দিন।
ক্ষয়ে যাওয়া চুড়ি বাজে
রিন রিন, রিন রিন।


ফসিল হয়ে গেছে ল্যান্ড ফোন।  দরজায় ঝোলানো ডাকবাক্স ও।
ক্ষতি কি?  যাক না।
কেউ নেই তো নীল খামে গন্ধ পাঠানোর, বা
ক্রিং ক্রিং ফোন এ বিরক্ত করার মানুষ।
নিস্তব্ধ থাকাই ভালো,
ঝামেলা ভাল্লাগেনা ধুস।
ষাট পাওয়ারের বালব আজ যথেষ্ট আলো দেয়।
ঝকঝকে নিওন আসবে হয়ত পরের দিন।
আহ!, থামাও এ ক্ষয়ে যাওয়া চুড়ির আওয়াজ,
রিন রিন, রিন রিন ন ন ন....