একটা বিরতির পর ফিরছি, বলে,  
বিজ্ঞাপনের আড়ালে চলে গেল কমলীনি।
বড় অস্থির লাগে এ সময়,  
কেন যে এত বিরতি, কেন যে....
নাহ এখন চা খাবনা, কিচ্ছু না।
পলক ফেলব না চোখের,
চোখে দৃষ্টি নেই আমার,  
কিন্তু তাতে কি?
আমি তো ওর এক এক অভিব্যক্তি  চিনি,
প্রিয় কবিতার মত।
ওই সে এসেছে বিরতি শেষে আহ!
সেই হাসি...
ওই তো দেখতে পাচ্ছি,  
মাইনাস পাওয়ারের  আড়ালে,  
মাসকারা লাগানো চোখ।
ঝরঝরে মুক্তোর মত দাঁত।
যা নিয়ে বিস্তর অহংকার ছিল।
খুব চাপা স্বভাবের মেয়ে সে।
মুখে কথা নেই,
লুকোতে চায় চোখ ভরা জল।
বুকে টেনে বলতাম " কমল আমার  কমল",
মনে পড়ে তোমার?
বিশাখজ্যোতি কি অমন যত্ন করে?
নাকি সয়ে যাও? সইয়ে নাও,  
চোখের পাতায় মেঘ রাখো ধরে।
এ সামান্য জীবনে চাওয়ার ছিল না কিছুই,  তুমি ছাড়া।
অদৃশ্য সময় হাতড়ায় শাড়ির আঁচল, চেনা ডিও র গন্ধ,
শালিকের মত সারাদিনের সেই ফুটোফাটা ঝগড়া।
অরূপ পদ্মের মত তোমার মুখ আচ্ছন্ন করে রাখে,
আমার নিরন্তর রাস্তা চলা।
এক এক্সিডেন্টে চলে গেলে তুমি,
চলে গেছে শরীরের সমস্ত অনুভুতি  মালা।
নিঃশেষ হয়নি ভালবাসা,
মুছে যায়নি তোমার মুখ।
প্রেমহীন মুহূর্তের  বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে তোমাকে ভাবা,
আমার নতুন অসুখ।।