এখন আর কেউ হাত লাগাচ্ছে না ওই
ফুলের মত শরীর টায়।
পচা গন্ধে ভরে আছে চারপাশ।
কেনই বা দেবে,
এখন  মণিকা বেওয়ারিশ ডেডবডি
গলে যাওয়া  লাশ।


নাকে কাপড় চাপা দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে
ঝাঁকড়া চুলের প্রেমিক ছেলেটা।
রোজ সাইকেলে চেপে চক্কর লাগাত
ওদের বাড়ির সামনে।
একদিন তেড়ে এসেছিল মণিকার জেঠা।


কচি মাংসের লোভে ওত পেতেছিল শিকারী কুত্তার দল।
বছর সতেরোর মেয়েটা ধরতে পারেনি  মানুষের এত ছল।
বুঝতে পারেনি পশুর থেকেও
পুরুষের  লিঙ্গে
এত বীরত্ব, এত বল।


মাটির মেয়ে ঘুমিয়ে আছে মাটির বিরান বুকে।
শরীরময় মাছির দল বসছে নাকে মুখে।
কচি সবুজ মুখের পাশে কালো জমাট রক্ত।
হাতের মুঠো বালি কাদায় কাঠের মত শক্ত।


ওরা ছিঁড়েছে শরীর,
গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাঁজরের একটা একটা  হাড়।
যন্ত্রণায় কাতরেছে মেয়ে,
কে দেবে ওকে ছাড়?


দলা পাকানো মাংস পিণ্ড ঝোপের এক পাশে।
আগুনে পোড়ালো নিথর শরীর দারুণ উল্লাসে।
আধপোড়া দেহ ছুঁড়ে ফেলে দিল  জল মাটি কাদায়।
কারা ওরা?
হবে কোন ডান বাম পার্টির ছেলে
মিছিলে যারা মাতায়।


মাটির মেয়ে মাটিতে মিশে পচা লাশ হয়ে পড়ে।
ভোটের দামামা চারপাশে বাজে
পরব লেগেছে ঘরে।


কত মণিকা রোজ বলি হয় কে রাখে তার খবর।
জেগে থাক মা ঘুমিয়ে যাস না,
ওদের না দিয়ে কবর।