পাড়াগাঁয়ের মেঠো পথে
কেটেছে যে ছোটবেলা,
   বর্ষায় বিস্তীর্ণ জলরাশি
মাঠ ব্যাপী করতো খেলা।
শরতের শুভ্র কাশফুল
প্রস্ফুটিত নদীর দুই তীরে,
ছিল এক অন্য অনুভূতি
মন হারিয়ে যেত গভীরে।
শারদ উৎসবের দিনগুলো
ছিল রঙিন আবরণের উপমায়,
ক্ষণিকে চলে যেত দিন চারেক
বসে থাকা আগামীর অপেক্ষায়।
শরৎ শেষে আসে হেমন্ত
সোনালী ধানের ছড়া নিয়ে,
শিশির সিক্ত ঘাসের ডগা
ছুটে যেতাম মেঠো পথ দিয়ে।
নবান্নের ঘ্রাণে পৌষ পার্বণ
     উঠোন জুড়ে আলপনা,
সেই হিমেল শৈত্য প্রবাহের
আজ নেই তেমন আনাগোনা।
শ্রীপঞ্চমীতে বাগদেবীর আরাধনা
অপেক্ষার প্রহরের সমাপ্তি ক্ষণ,
সকালে উঠেই স্কুলে সমবেত
দেবীর শ্রী চরণে পুষ্পাঞ্জলী নিবেদন।
  কোকিলের সুমধুর সুরে
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী,
  মনে পড়ে দিন গুলির কথা
স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল লেখনী।।

          ........