এ দেহে নিশান পোঁতা বিপদগন্ধী।
পীতরঙা ছালের ওপর নিভন্ত রোদের আবরণ
জীর্ণ করে তুবড়ির মতো জ্বলে ওঠে দুই চোখ।
স্নায়ুতে তবুও কিঞ্চিৎ আবিলতা
ঘূর্ণির মতো সেঁকে যায় শ্বাসমূল,
অরণ্যের নিতম্বে কার শিথিল আর্তনাদ
জড়িয়ে যাচ্ছে নিমের আঠায়।
আকাশ-হৃদপিণ্ড ফুঁড়ে তারার স্পর্দ্ধারা
নেমে আসে মেঘের ময়ূরকণ্ঠী স্রোতে।
ওগো শার্দুলবাহিনী মেয়ে,
অনুচ্চারিত আদিমের অঙ্গদ পরে হাতে,
লতাগুল্মের ত্রিশূল জ্বেলে অপ্সরার রাতে
তুমিও কি দিচ্ছো ডুব কালিন্দীর জলে?