দেহাতি উনুনে পুড়ে রাঙা তার জেদ,
আলোকশার্শিতে সে সাজে উল্লাসে।
শানিত স্পর্শে ওড়ে রক্তাভ ক্লেদ,
কোমরবন্ধ বাঁধে কোন অভিলাষে?
স্পর্ধা লুকানো ছিল পাপড়িগহনে
আঁচলে ঢেকেছে বুক, মেলাতে হিসাব-
রক্তপলাশে মোড়া সিক্ত শয়নে
দুঠোঁটে গরল ঢালে নিভন্ত তাপ।
প্রান্তকাননে তবু মেলেছে সে পাখা
পুষ্প-আঁচলে ধরে মেঘতরবারি,
নয়নবজ্রতলে জল ধরে রাখা
কুসুমশরীরে বাজে বিজয়ের ভেরী।
নেভাবে আগুন যদি, জ্বলবে সে ফের,
শারদ-আকাশে হয়ে বিপ্লবী তারা-
আঙিনা চেনাবে তার স্নেহার্দ্র ঘের
আয়না চিনেছে ঠিক দিঠিইশারা।
ক্ষততে অনল জ্বালো, শিরে পরো তাজ
মেধার প্রাচীর জুড়ে জ্বলুক জোনাকি,
ভূমিসুতা! মাটির কন্যা তাই হলে তুমি আজ,
তোমার দক্ষিণহাতে পরাব যে রাখি।