বিষণ্ণতা,তোমার মুখ দেখেছি ধূসর-
জারুলের বন যেভাবে ঢাকে মেঘের শ্বাস।
নদীর মৃদুলা গতি আমার ভেজায় দুহাত,
অপালার কানের মুক্তো যেমন ঝিকিমিকি।
বিষণ্ণতা,তোমার মুখের আদল আজ কত শিকড়ে,
হেলেঞ্চার জোনাকিঘেরা নৈশব্দের নীড়ে
অথবা কিশোরীর হাতে ধরা জলফড়িঙের চোখের অতল।
কণিষ্কের ভাঙাচোরা দিন আমার দুমুঠো গলে
পড়ে যায় চিকনকালো কুয়োর ভাঁজে।
অজন্তার সে কোন রাত-প্রদীপোজ্জ্বল বুদ্ধহাসি-
নবারুণরাগ যেদিন তুলির আঁচে ধিকিধিকি জ্বলেছে।
স্নায়ু পুড়ে গেছে কবে সেই আগুনে-
লাল চাঁদ ডুবে যায় আকাশিয়ার বনে,
ছড়িয়ে ধূসর কিরণ,নাকি মৃত উজালা?
হিরণের ধাবিত গতি,বিষণ্ণতা,
প্রতি পদে ফুটে উঠেছিলে নীল প্রজাপতির রঙে।
সুউচ্চ উইলো যেমন ডেকে নেয় ধ্রুবতারা,
তৃণের আয়নায় মুছে যায় বাদামী উপত্যকা-
বিষণ্ণতা,ডাক পাঠালে বুঝি?গ্রামের আড়াল থেকে?
চেতনার জলে ডুবে গেছে হিজল-গরান,
যেমন সব স্টিমার ভেড়ে না মনের বন্দরে-
বিষণ্ণতা,ডাক পাঠালে বুঝি?দুঠোঁট বিদীর্ণ করে?