যেভাবে চৌকাঠে নুয়েছে সিলিং,
যেভাবে বেতের চেয়ারে জমে পালক,
সেভাবে রাংতায় মোড়া ভেসলিন,
তুফানে উড়ে যায় রোদ্দুর নোলক।
যেভাবে কাপ-প্লেটে থমকায় সময়,
পাপোশ ভারী হয় অভিমানজ্বরে,
সেভাবে বিছানাও সোহাগে রঙিন,
কাগুজে বাসি ফুল নেবে মুঠো ভরে?
যেভাবে ক্যালেন্ডারে নীল কালি,
যেভাবে টিকটিকি খুঁজে নেবে শিকার,
সেভাবে প্রতিদিন দিয়ে চোরাবালি
দুফোঁটা কেরোসিনে দুপুরটা পার।
যেভাবে মাছওয়ালা হেঁকে যায় রোজ,
যেভাবে ঘুড়ি নামে এন্টেনা ঘাটে,
সেভাবে সংসার খাদানের কালো
জমেছে ঈষৎ উষ্ণ দুঠোঁটে।
যেভাবে শ্যাম্পুতে বুদবুদ ভারী,
তেলেতে ছেড়ে দাও পেঁয়াজের ঘ্রাণ,
আমিও নেমে যাই অলিগলি বেয়ে,
শ্রাবণে পাতিকাক ভেজে।ধারাস্নান।
যেভাবে ঘষা কাচে হ্যালোজেন জ্বলে,
যেভাবে কাটলেটে এসে বসে মাছি,
সেভাবে ওভেনের উত্তাপ মেপে,
দুজনে মন নিয়ে আছি,কাছাকাছি।
তবু তো বেলোয়ারি হিসেবের খাতা,
বেলাশেষে অপূর্ণ লক্ষ্মীর ভাঁড়,
তবু তো চ্যাপ্টা গোলাপে বাঁধি তেজ,
সুতোতে জেগে ওঠে বেনারসি পাড়।
দেখেছি স্বপ্নশ্রমিকে গড়ে বাসা,
যেভাবে কাক ডাকে রাবেয়ার ভোরে,
শুনেছি সাইকেলে বেজে ওঠে সুর,
দুমুঠো আশা দিই পেয়ালায় ছেড়ে।
যেভাবে টাইমকল বেয়ে নামে শীত,
যেভাবে নুন পড়ে ধোঁয়া-ওঠা ভাতে,
সেভাবে ব্যালকনি জুড়ে নামে রোদ,
নিবিড়ে বসব তো তোমাতে-আমাতে?