সরণী এমনিই,কাটাকুটি খেলা-কবিরা ছিন্ন আঁচলে কুড়ায়
বলাকার মেঘ।প্লেটো জানতেন-সময় কোথায় থমকে দাঁড়ায়।
আগামীরা আসে কালো নি:শ্বাসে,মৃত্যু কি তবে ক্ষণিকের রাত?
কালের নুলিয়া ঘরে আসে ফিরে,স্রোতে ডুব দেন রবীন্দ্রনাথ।
লণ্ঠনে ধরে জোনাকির আভা,শেষ ট্রেন ছাড়ে বনের স্টেশনে-
তারার মৃত্যু দোয়াতে ভরতে জীবনানন্দ নামেন উঠোনে।
প্রেমের জীর্ণ আঁচেই পুড়েছি,মরুদ্যানের শীতল দেহলী-
মালিনী ফোটায় মরণপুষ্প।জীবনের সুধা ঠোঁটে নেন শেলী।
পরিত্যক্তা নীহারিকা,তবু কাটগ্লাস ছোঁয়ে অনিশ্চয়তা-
এলিয়ট আজ অনিদ্রারত,কারখানাধূমে বিজনবারতা।
আলোকবর্ষী মহাকাল এলো?তোমার অধরে আদরের ক্ষত!
এই সমাধিতে ফুল রেখে যেয়ো,কিংবা পংক্তি,নেরুদার মতো।
অমরাবতীর দীর্ঘ দ্বন্দ্বে,কাব্যশ্যাওলা ভরায় ঝিলকে-
মশাল হাতে আঁধার কাটতে হাতুড়ি চালান শ্রমিক রিলকে।
কালের সরণী কোথায় বেঁকেছে,জলের গদিতে বিছিয়ে রাংতা-
রোদ পড়ে আসে বাতাসগলিতে-গতির নাম তো মন্দাক্রান্তা।