(যদিও লেখাটা পড়ে আচমকা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়তে পারে,কিন্তু সুধী পাঠক,এই লেখা আর যাই হোক,কুম্ভীলকবৃত্তির দোষে দুষ্ট নয়।)


মন ভালো নেই,ভালো নেই মন।
শিশিরের ঊষাকালে বীজ বুনি মাঠে মাঠে
শিরীষের শাখায় এক বিচিত্র শিহরণ-
মন ভালো নেই,ভালো নেই মন।
হঠাৎ কাশের বন ছাড়িয়ে যে সেতুখানি
ঝরনার সঙ্গীতে কিছুটা যা হৃদিময়-
মেঘ ঠেলে চলে আসে কুয়াশার রেলগাড়ি।
নবান্নশোভিত ক্ষেত ডুবিয়েছে দুনয়ন-
মন ভালো নেই,ভালো নেই মন।
গাঙচিল উড়ে যায় ফেলে রেখে জলদাগ,
নির্জন যে চাতালে ভিজেছি অবিরাম-
সেইখানে গোধূলিতে টিপসই দিয়ে রেখো,
উজানী বায়ুতে পাতা সবই আজ এলোমেলো।
অধরার সঙ্কেত কেন ঢাকে ওই আবরণ?
মন ভালো নেই,ভালো নেই মন।
পাগলের পিচকিরি-ভিজেছে যে কানা গলি
বৃষ্টি ঝরেছে কাল সারারাত কার্পাসে।
নবীন আম্রকলিমুকুট পরাবে জানি
এ বিকেল ফিরিয়ো না কেবল অলীক হাতে।
পলাতকা রাত ধোবে তোমার এই দুচরণ-
মন ভালো নেই,ভালো নেই মন।
আমার আতসকাচে জমেছে যে ধুলো জানি-
সে কি আর ফিরবে না ঘাসজমি চিরে চিরে?
বাসি কিছু বারতা কুড়াবে কি বালুচরে?
মরবে কি ঘুঘুদল শেফালিকা অসীমে?
সেদিন রেশমভিড়ে কোরো আমায় স্মরণ-
মন ভালো নেই,ভালো নেই মন।