শহরপিরীচে ঘনাবে শ্রাবণ, নিয়নচূর্ণ জাতি,
দুঠোঁট ঢেকেছে মিশকালো মেঘে নির্জন বর্ষাতি।
ধূসরপ্লাবনে যখন বিছানা ঘন মেঘে অবলুপ্ত
চোখের তারায় কাঁটাতারে ঘেরা স্বপ্নিলঘোর সুপ্ত।
ভাঙা মেঘ গলে বাসি রোদ নাকি পুড়িয়েছে পালকি-
চুম্বন যদি হবে গাঢ়তর,লিপস্টিক লাল কি?
বর্ণিল বুকে সর্পিল স্রোত ফিরিয়েছে ধুন পাহাড়ি
শরীর চিনতে ম্যাপ খুলে বসা এই আমি একা আনাড়ি।
উদ্ভিদকোলে জোনাকি ঘুমায়, চুলে রঙ লাগে রূপালী-
শ্রাবণধারায় ডুবাতে আঁচল আসবে আম্রপালী?
শিয়রে নমাজ ভেসে আসা ছাদে একা কোকিলের স্নান
ফুটপাতে শোয়া এলভিস শোনে মরা পাথরের গান।
নাভিতে যেমন ভাসাই নৌকা ছেঁড়া কাগজের স্তূপে
তোমার কটিতে হাতড়ে বেড়াব ভালোবাসা, নিশ্চুপে।
ছিপি-আঁটা রোদে ভেজানো রয়েছে প্রেমের দীর্ঘ নখ-
আমার সোহাগে সর্বনাশিত হবে কি তোমার চোখ?
এসো করো স্নান নবধারাজলে,অলীক তারার নীচে,
টাইমকলতলা এখনো রয়েছে আদরের তাপে ভিজে।