খানিক ভেজা তার রঙিন হাত,
আঁচলে বেঁধে নেয় রংমশাল-
ঈষৎ বিকেলের দূর্বাঘাস
নুয়েছে পায়ে তার-আবিরলাল।
জোনাকিবস্তির শব্দজাল
ঘিরেছে ঘন রোদ,পলকহীন।
নিত্য তার পায়ে জলছবি,
আউশধানে ছড়ায় রোদ-আলপিন।
মাজারে রাত নামে-জ্যোৎস্নাচুল-
বলাকা ডেকে নেয় আগুনমেঘ।
ঠোঁটের নীচে তার হিমানীরাগ,
দু স্তন জুড়ে খেলে আফিমি বেগ।
তারকা জ্বলে যাওয়া কাফ্রি রাত
নেভাও দাবানল,পোড়াও ঘুম।
অতীতে পায়চারি করে যে সুর,
নামবে ঝরে আজ বৃষ্টিধুম।
দ্বিধার কোণে লাগে কনকমেঘ,
অমরাবতী ছিল নিচল স্রোত-
কালের সওয়ারী সে,বেঁধেছে চুল,
পেরোবে নৌকায় স্বপ্নপোত।
হরিণী পায়ে পায়ে আতরসুবাস,
শিলা না ডুবে যায়,অতলনীল-
ঝরেছে চোখে তার বক্রশীত,
কাঁচুলি ছুঁয়ে যাবে হাওয়ার দিল।
বিরহী কোয়েলের নিবিড় মাঠ,
বাষ্প ছলোছলো ধূসর তাক-
উপলে জাগে ব্যথা-ঝর্ণাসুর-
রাঙা ধুলোয় ঢাকে পথের বাঁক।
ইরানী মরু জুড়ে তড়িতমন-
বাঁশুরি বেজে যায় গাঙুরপাড়।
বালিশে রেখে যাওয়া জুঁইসুবাস
মিশেছে কটিদেশে,কণ্ঠহার।
শরিকি আলাপনে চাও কি খাম?
ঠিকানা লিখে যেয়ো-ভূর্জপাত।
নিদ্রাহারা রাতের এই যে গান,
শ্রাবণে ধরো তবে আমার হাত।