কত ধূসর নদী দিয়ে বয়ে গেছে তোমার একফালি নৌকাখানা,
মৃত তারাদের রঙ শুষে নিয়ে চুনকাম করেছ সামুদ্রিক ঝিনুক।
দুহাতে হাওয়ার শব্দ কুড়িয়ে ভরে নিয়েছ সবুজ ফুসফুসে-
মেঘলা ফ্রেমে ফুটে উঠেছে স্বপ্নের ঝাউপাতা।
ভাঙা চিলের ডানায় আইভানের কান্না শুনেছিল মেরুজ্যোতি-
আমার স্বপ্নের প্রহরে হয়তো বা জ্বলে উঠেছিল প্রান্ত খামারবাড়ি
অতীতের আগুনে।
বিষাদময় তোমার দুচোখ দেখেছে ধর্মের ক্রুসবিদ্ধ দেহ,
যেভাবে মানবতার ঝাঁপি হাতে যীশু হেঁটে গিয়েছিলেন জলের উপর দিয়ে...
তবু তো আস্থা রেখেছিলে ঠোঁটের স্পর্শে।
এপিটাফ মুছে বিদায় নিয়েছে গ্রীষ্মের দিনগুলো-
তবু তো প্রাচীন গোলকধাঁধার ঘাসে খুঁজেছ মুক্তোর দেহাবশেষ!
আঁধারশ্রমিক তুমি।স্বপ্নবালি দিয়ে গড়ো খেলাঘর।
রাত্রি তোমার কাঁধে এলিয়ে দেয় অবসন্ন চুল-
সময়ের রক্তাক্ত দেহে আরেকবার ঘা দিক তোমার ওই কুঠার।
বুকের বাঁদিকে পলেস্তরা খসে গেছে বেদনার ঝাপটায়-
নিশ্চুপ হয়ে একটু বোসো এই রডোডেন্ড্রনগন্ধী খাদের কিনারায়।
তোমার ক্লান্ত লাগে না,আঁন্দ্রে?