ভালোবাসার প্রদীপ জ্বালিয়ে
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মন,
প্রদীপের নিচে অন্ধকার জড়িয়ে ধরল
গভীর আনন্দে।
সেই অন্ধকারে খুঁজে নিলো সুখ,
খুঁজে নিলো নতুন জীবনদর্শন,
যেন সেই অন্ধকারেও একটা আলো ছিল।


চিরকাল সে আকাশ চেয়েছিল অন্তরে অন্তরে,
বোকা মন বাধল বাসা।
সে খাঁচা ভেবে অগোচরে উড়ে গেল নীলিমায়,
চঞ্চল বনটিয়ার মতো মেলল ডানা
মেঘ ধরবে বলে।
ডানার ঝাপটে উঠল ঝড়।
ঝোড়ো হওয়ায় নিভল প্রদীপ, কাটল ভ্রম
ভাঙ্গল খেলাঘর।


ঘুটঘুটে অমানিষার গাঢ় আঁধারিতে
বাসা আর মন, সব একাকার হয়ে গেছে।
স্বপ্নের ফসল ঘৃণার গনগনে আগুনে
পুড়ে যাওয়ার শব্দ বাড়তে থাকে,
নদীর পাড় ভেঙে তলিয়ে যেতে থাকে মন,
আতঙ্কে ঘুম ছিঁড়ে যায়।
কোথাও কিছু নেই, অদ্ভুত স্তব্ধতা
যেন মৃত‍্যুর শোক পালন করছে,
কান্নায় চোখ ভারী হয়ে যায়।


দিনের ঝলসানো রোদের সামনে
তুলে ধরে স্পর্ধা, আবার।
মাটিতে মিশে যাওয়ার আশা নিয়ে
হয়ে ওঠে মাটির মতো মূল‍্যবান।
অপেক্ষার দরজা বন্ধ করে শক্ত হাতে।
ফের খুঁজে নেয় নতুন জীবনদর্শন।
বিশৃঙ্খলে উত্তাল সাগর জমে
হয়ে উঠেছে অভিমানের পাহাড়,
সেই অভিমানে একটা মান অনুভব করে।
কখনো খুব একা লাগে,
সেই একাকিত্বে অদ্ভুত শান্তি অনুভব করে।