রক্তমাখা অন্ধকার পথ ধরে যন্ত্রণার সুখ মাড়িয়ে,
স্নিগ্ধ আলোর পদক্ষেপের ধ্বনিতে আকাশে উড়ছিল নিরক্ষর স্বপ্ন, বর্ষাবরণ! জরার ওষ্ঠে ছিল নিষ্পাপ হাসির জোয়ার।


কালচক্রের তীব্র রশ্মিতে দৃষ্টির কক্ষপথে গ্রহণ লাগে, অন্ধত্ব। দিঘির জলে রোদের দীপ্ত প্রতিফলনে ধাঁধিয়ে দেয় প্রখরতা। বালিঝড়, ঘূর্ণিঝড়, খরার মরশুম, রক্তাক্ত অন্তরদ্বন্দ্ব! বাহকের অভিপ্রায়ের মাটিতে জন্মায় কাঁটা ঝোপ, গুল্ম অভিব‍্যক্তি।


পার্থিব অস্তগামী, লজ্জার অবগুন্ঠনে ম্লাণ প্রতিমূর্তি।
মনস্তাপের অগ্নিকুন্ডে ভস্ম হয়ে যায় স্থাবর অস্থাবর।
প্রাতরাশ-নৈশভোজ খোঁজে জুজুর ভয়, অবিকল্প।
ক্ষয়িষ্ণু পাহাড় ইতিহাসে বাঁচে। স‍‍্যাঁতস‍্যাঁতে শ‍্যাওলা ধরা অন্ধকার সুরঙ্গ হাতড়ে ফিরতে চায়, উষ্ণ জলজ নিরাপত্তায়, আতঙ্কের বোঝা নামিয়ে রেখে।
অতি শ্লথ পদক্ষেপে ধীরে ধীরে নেমে আসে পান্ডুর রঙ, অনুতপ্ত শীর্ণ আঙ্গুলে লেগে থাকে আকুতি। শেষ পযর্ন্ত চেয়ে যাওয়া। অনুজ্বল যবনিকাপতন।
খুলে যায় কমলাগহ্বরের দ্বার। নদীতে অবগাহন করে জন্মঋণ।