পূর্ণিমা রাতের বাসরে গানের লড়াই,
কালরাত কাটে বিড়ালের গোঙ্গানি আর কুকুরের কান্নায়।স্নেহহীন সঙ্গমে ক্ষুধার্ত শ্বাপদের অভিপ্রায়।
কলঙ্কের আঁধার নামে নববধুর সর্বাঙ্গে,
বরাদ্ধ হয় আজীবন অভিশাপ।


অজিন মোড়া দাম্ভিক চাহনির গোপন আহ্বাণে
রঙিন ইচ্ছে আদিম ভঙ্গিতে ধাবমান হয়,
দেহজুড়ে চলে নারীপুরুষের নৈশ্যভোজ।
গতরাত লুকানো থাক সম্পর্কের আড়ালে।


নির্মম সব অজ্ঞাত থাক,
সংরক্ষিত থাকুক পিতৃছায়ায়,
স্বপ্নে জেগে উঠুক পরী কাহিনী,
লালিত‍্য রেঙে উঠুক হলুদ রঙে, আর
শুভলগ্নে বদল হোক পরিচয়,
প্রকৃত সুখে হয়ে উঠুক সম্পূর্ণা।


বিষ সেবনে উত্তাল কত আক্রোশ।
বয়সের সাথে বেড়ে উঠেছে রুক্ষতা,
ময়লা জমেছে মনের গভীর অবধি, আর
নিঃশব্দে ঘর বেঁধেছে কর্কট রোগ।


ঈষৎ স্বচ্ছ অভিজ্ঞ চাহনি,
নির্বাক স্লথ্‌ শুষ্ক দিনগুলো আজ
সুবর্ণ স্মৃতির পাশে নির্জন,
বন্ধু হারানোর আক্ষেপটুকু বুকে নিয়ে।


আরো কিছুটা উন্নত জীবাণু প্রবেশ করে মস্তিষ্কে।
ধ্বংসের দলে যোগ দেয় আরো কিছু নৈতিকবোধ,
উন্নত সভ্যতা।
মৃত্যুতে প্রকাশ পায় আয়ুবলয়।
তা স্বত্ত্বেও দেহে উপর জমে ওঠে মজলিস,
সারা রাত ফুঁপোতে থাকে সংবেদনশীল ঈন্দ্রিয়...