আগুনের পাশে বসে বিরহের গান, আসর জমেছে
পুড়ে যায় বিন্নি ঘাস কাঠ আর কিছু প‍্রত‍্যাশা,
আক্ষেপ উদযাপনে কাটে অরণ‍্যের রাত
শিশিরভেজা ভোরে গোলাপি ঘুমের ঘোর।


জলপ্রপাতের গর্জনে উথাল পাথাল অভিমান,
গুমোট আকাশের কালো মেঘেরা ডেকে ওঠে
শূন্য বুকে জঙ্গলী বৃষ্টি নামে
ধুয়ে দেয় খরস্রোতা চোখের জল।


বরফ মোড়ানো পথ পেড়িয়ে
হিমবাহ দেখে নিষ্পলক স্তম্ভিত -
ঠিক যেমন স্তম্ভিত হয়েছিলাম
কিছু মিথ‍্যে অভিযোগের আর্তনাদ দেখে,
কিছু অযৌক্তিক প্রশ্নের কৈফিয়ত চাওয়াতে
হিম বয়েছিল মেরুদণ্ড জুড়ে,
হঠাৎ শুরু হয় তুষারপাত -
অপ্রাপ্তির পাথুরে অনুভূতি ঢেকে যায় বরফে।


বালির লিখন মুছে যায় ফেনিল ঢেউ অবিরাম
ভিজিয়ে যায় শামুক ঝিনুকের মৃতদেহ,
আবেগে জড়িয়ে ধরতেই -
সমুদ্রের নোনা জলে একাকার হয়ে যায়
ঘামের স্বাদ।
বালিয়ারিতে পড়ে থাকা অচেনা পা'য়ের ছাপ
স্মৃতি উসকে দেয়,
এক সময় একসাথে হেঁটেছিলাম
বালি মাখা পা'য়ে
সৈকতের লালচে অপরাহ্নে।


নিরব নিথর তপ্ত মরুতে
মোহময় সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে
উপলব্ধি করি -
প্রকৃতির খুব কাছে গিয়েও
প্রকৃতিকে পেলাম কই?