তারপর গাছের পাতার ফাঁক থেকে বেড়িয়ে আসা টুকরো টুকরো রোদ্দুর,
বিবাগী হাওয়া লেগে ঢেউ খেলে যাওয়া সবুজ ক্ষেত,
বরফ মোড়া পাহাড়ি গ্রামের তুষারপাত,
শীতের বিকেলে অস্তরাগের ক্ষণিক স্বস্তির সম্মোহন ভাঙতেই,  প্রয়োজনের মতো পরিবর্তন হয় ছায়া।


তারপর স্মৃতি পরজীবীর মতো নির্ঘুম অবিরাম বেদনার বাসা গড়ে চলে শিরায় শিরায়, অনুভবে।
নিস্তব্ধতায় একাকিত্বের সাথে সহবাস; জন্ম দেয় হাজার হাজার শব্দ, অনুশোচনা।
আত্মসমালোচক হয়ে ওঠে, বোধের কাছে নত হতে হতে পরিণত হয়েছে ওঠে।
পুনরূদ্ধারের পথ খোঁজে নিয়ত অভিক্রিয়ায়।


তারপর, তার থেকেও শুভ সম্ভবনায় কোনো শিহরণ জাগে না।
সুসময়ের ত্রুটি অসময়ের সন্তুষ্টির পাশে খুঁটে যায় অক্ষত ক্ষত।
দ্বিছায়া যাপনের গোপন ভাঙনে পরিপক্ব হয় শব্দের প্রয়োগ, সীমাবদ্ধতা।
তারপর এমনি অগণিত অচেনা অজানা সত্তার ভিড়ে অপরিচিতের মতো সত্তা সামলে রাখে সঙ্গোপনে।