নিস্তব্ধ মধ্য দুপুর, নির্জন, নিঃশব্দ শহর,
কার্নিশে কাক, ফেরিওয়ালার হাঁক ভাঙছে নিস্তব্ধতা,
একাকী ঘরের কোণে বসে ঘড়ির শব্দগুলো গুনি টিক টিক।
আকাশে ওড়া ঐ চিল যায় ডেকে -
নিস্তব্ধতাকে ওরা করে খান খান,
নির্বাসিত দুপুর যেন নিঝুম থেকে হয় নিঝুমতর।


খাঁ খাঁ এই মনে বিচিত্র স্বপ্ন ও কল্পনারা
কি নির্বিঘ্নে করে আনাগোনা,
কখনও হৃদয়পুরে, কখনও বা কল্পলোকের রূপলি পর্দায়।
জীবনের এই রোজনামচা সেও কেমন বিবর্ণ আজ হয়েছে স্থানুর।
প্রত্যেকেই কি তবে নিঃসঙ্গ একসময়?
বলোনা নিঃসঙ্কোচে তুমি ওগো মধ্যাহ্ন বেলা !


দ্বিপ্রহরের নিস্তব্ধতায় শূন্য এই মন শূন্য হৃদয়,
নির্জন জনপদ দোকান চৌরাহা ঘর গেরস্থালি,
নির্মেঘ ওই অনন্ত আকাশকে দেখে মনে হয়
সময়ও বুঝি নিয়ম বহির্ভুত হয়ে - গিয়েছে থেমে
নিশ্ছিদ্র এক অনন্ত শূন্যতা।
এ আমার নির্লিপ্ততা নাকি চিন্তাগুলোর হয়েছে সমাধি !


নিঃশব্দ দুপুরের এই নিশ্চলতাই কি তবে শেষের পর?
নাকি ভাবনাহীন মহান শূন্যতা - সমাধিস্থ বুদ্ধ!
______________________
অমিতাভ (২.২.১৯) বাড়ি, দুপুর ২-৪০