আমি স্নিগ্ধা বয়স তখন আট
যেন কুঁড়ি হতে উঠছি ফুটে ছোট্য লাল গোলাপ,
নয়ন ভরে দেখেছিলাম আলোর পৃথিবীরে
রূপে রসে গন্ধে ভরা এই ধরণীটিরে ।
পায়ে পায়ে বেড়ে ওঠা ,দু'পা এবার বাইরে ফেলা
জ্ঞানের আলোয় শিক্ত হতে এবার পাঠশালায় প্রবেশ।
হেসে খেলে অঙ্ক কষে দিব্যি বেড়ে ওঠা
ছোট্ট আমি বাড়ছি ধিরে যেন আইভি লতার শাখা ।
হঠাৎ যেন মনে হল কিছু মানুষ কেমন যেন,
আড়ালে আবছায়াতে তার কালো লোমষ হাত ।
মেয়ে আমি হচ্ছি বড় ফুলে ফলে ঝর্ণাধারায়
বিচিত্র ইশারা তাদের পুরুষ ওদের জাত ।
পালিয়ে বেড়াই ভয়ে ভয়ে
স্কুলে রাস্তায় ঘরে বাইরে,
নিস্তার বুঝি নেই কোথাও
ওই পুরুষ দানবগুলো বুঝি সর্বত্র সাকার !!
এখন আমি উঁচু ক্লাশে হয়তো বা নয় অমন বোকা
আঁচড় কামড় তবুও কিছু খাই যে অনিচ্ছায়।
অবাক হয়ে যাই যে দেখে ,তাতে আপনজনও লুকিয়ে আছে
অন্ধকারে নয় নিরালায় নিয়ে লোলুপ লালসা ।
লোকলজ্জার কথা ভেবে - চুপ করে যাই শেষে
চোখের জলে ভেসে,
কি দোষ... আমি কি করেছি? হয়না জানা শেষে ।
ওই লোলুপ নয়ন চারিদিকে যেন গিলছে আমায় তেড়ে
মাংস লোভী পুরূষগুলো হায়না দৃষ্টি দিয়ে ।
স্বাধীনতা নেই যে আমার একুশ শতকেও এসে ,
টান টান এই আধুনিকতার চকমকে মোড়কে -
নীরবে কাঁদে যে নারী আজও দিকে দিকে ।
আমি যে স্নিগ্ধা ,নারী আমি –
এটাই বুঝি দোষের !!!
===========================
অমিতাভ ( ২৪।৬।২০১৪) সকাল ৬-৩০ , লেকের ধার
** নিত্যদিন চারিদিকে দেশে এবং বিদেশে অবলা নারীর উপর কিছু দানবিক পুরুষের পাশবিক অত্যাচার ও ধর্ষনের খবরগুলো মনকে নাড়িয়ে দেয় । অবাক লাগে, মনে দ্বন্দ হয় –
আমিও তো পুরুষ , তবেকি আমিও ..... ভাবলে শিওরে ওঠে শরীর , অস্বস্তি হয়।
এইরকম একটা মানসিক যন্ত্রনা ও অস্থির অবস্থায় এই লেখাটা ।