তখন যে তোর তেরতে পা আমি সতেরয়,
দিনে দিনে বাড়ছিলি তুই
ফুলে ফলে রঙিন হয়ে ঈষৎ স্তনভারে নুয়ে,
আরও কি সব শুনেছিলাম - হ্যাঁ, রজস্বলা ঋতুমতি হয়ে!
আমার তখন ছিল শুধুই অবাক হওয়ার পালা -
অমন করে দিনে দিনে তোকে বদলে যেতে দেখে।


হাসিখুশি চটুল সে তুই
তখন একটু যেন কেমনতর - সন্ধিহান বিহ্বল।
আমি তখন ছিলাম যে তোর ঘোরে,
তোর ওই দীঘল চোখের চকিত  চাহন
বদলে যাওয়া তোর ওই  গড়ন,
কেমন ভীষণ করে টানতি রে তুই
অজানা এক ভাল লাগার প্রবল আকর্ষণে।


এতদিনের চেনা সে তুই
একসাথে সেই বেড়ে ওঠা একই সাথে ওঠাবসা,
সেই তুইই তখন কেমন যেন হলি অচেনা।
তোর ওই চাওয়া চলা বলায়
অচেনা কোন ইশারাতে আমি বিবশ, ছিলাম অসহায়।
মেঠো চাষা যেমন থাকে আকুল হয়ে চেয়ে
লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা তার নিড়ানো বাসমতী  ধান ছড়ায় - হেমন্তের বাতাসে।


শুধুই  সেকি ভাল লাগা ছিল?
নাকি ভালোবাসাও ছিল,
সেই বিষে নীল হয়ে বাঁচার ইচ্ছে আপ্রাণ?
তাই কি বড় শংকা ছিল বেশি ওরা দিবানিশি?
কেমন যেন তুই খরস্রোতা  তিস্তা হলি আমি হলাম বাঁধ
ভীষণ করে আগলে রাখার বুকের ভিতর স্বাদ!


সেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ না নেরুদা নাকি চেকভ,
ওদের কথায় যেন একটু নেশা লাগে একটু কি ইশারা?
একান্তে এই নিশব্দতায় একলা বসে মনের কোণে
যায় ভেসে  মেঘ উড়ো ওরা এই অবেলার বেলায়।


বিকেলের লাল আলোর ছায়ায় আজ পড়ছে মনে বারেবারে -
তখন যে তোর তেরতে পা আমি সতেরয়...
__________________________
অমিতাভ  (১৮.৮.২০১৮) গৃহকোণ