কি যেন সে বলেছিল বার বার করে একান্তে ছড়িয়ে সৌরভ,
আমি বুঝিনি সেইদিন ।
তখন যে ভরা আশ্বিনের আমি এক উড়ো মেঘ বানভাসি,
উড়ছি উড়ছি আর উড়েই চলেছি আমি,
চারিদিকে শুধু নীল অনন্ত নীলের ছিল হাতছানি,
আমার ভিতর বাহিরও তখন যে ওই নীলেই সংক্রামিত !
জঠরে উড়ছিল কত রঙ্গিন প্রজাপতি ,
পা দুটি ছিল দুরন্ত অশ্বের রেকাবে প্রোথিত ,
বন্ধুত্ব প্রেম যৌনতা উন্মাদনা সবই যদিও ছিল মাত্রাহীন ছিল উদ্দাম ,
ছিলনা ধৈর্য বোঝাবার কিংবা দেইনি পর্যাপ্ত সময় তখন ।


অন্তরের অন্তরতম থেকে ছিল যেই ফুলেল অর্ঘ তোমার ,
ছিল যেই সুক্ষ নৈসর্গিক আবেদন তোমার প্রেমাঞ্জলিতে -
ছিলনা আমার সেই সুক্ষ অনুভূতি - তারে বোঝাবার ,
ছিলনা তোমার উদার অর্ঘকে নিবিড় করে আত্মস্ত করার যথার্থ প্রকাশ ।


সময় যে আসেনা ফিরে বার বার,
আজ খুব বুঝি -
আসলে বুঝেও বুঝিনি ঠিক নাকি বুঝতে চাইনি সেইদিন,
শুনেও শুনিনি তোমাকে আপাত ব্যস্ততার বাতুল বধিরতায় ।


তবে সময় যে নিষ্ঠুর বড় একগুঁয়ে , আসেনা সে কখনও আর ফিরে ।
সেই তুমি যে নেই আর,
বয়ে গেছ কোনও এক বৈশাখী ঝড়ের বিকেলে - সময় প্রবাহে ।
কেমন না বুঝে বসেই আছে অবুঝ এই মন আজ ,
কি জানি ? কি যেন বোঝার আকুল অপেক্ষায় ,
যা কিনা বুঝিনি সেইদিন ...
________________________
অমিতাভ (২০.০১.২০২০) গৃহকোণ, রাত ১-৩০