যার উদরে সৃষ্টি তোর, দেখিস আলোর ভুবনটিকে
যার কোলে তুই উঠিস বেড়ে শিতল আঁচলছায়ে
যার কোমল স্তনের দুগ্ধপানে তোর বাড়বাড়ন্ত সুস্থ দেহ ,
বুক ভরে তুই বাতাস নিয়ে ঘুরে বেড়াস পৃথিবীতে নীল আকাশের নিচে  !


পুরুষ - তুই তাকেই রাখিস অবগুণ্ঠনে হিজাবে ঢেকে দমনে পীড়নে ?
তার মাংস নিয়ে করিস খেলা, কামড়ে মেরে খুবলে খেয়ে করিস পৌরুষের জাহির?
পূজায় প্রার্থনায় তাকে  দিস না অধিকার,
ছিনিয়ে তার স্বাধীনতা তাকে করিস বলাৎকার ?


মেটাই যত যৌন সুখ ভোগ লালসা শিশ্ন বিনোদন ,
থাকি সুখস্বপ্নে মাতৃক্রোড়ে স্তন্যপানে খুব আদরে,
তারই সেবায় তারই স্নেহে বাৎসল্য সুখ নিয়ে ।
একদিন তারেই দিই ঠেলে নিতান্ত অবহেলে
অন্ধকার ঐ সুতিকাগারে, হেঁসেলের ধুম্রজালে কিংবা বেশ্যালয়ে ?
পেশিবলে করি শাসন মনুষ্যত্ব ভুলে ?


এ কেমন তুই পুরুষ - নাকি বর্গী কুলাঙ্গার ?
দেখ ভেবে তুই নিজেই পুরুষ - তুই মানুষ না জহ্লাদ ?
__________________
অমিতাভ (৪.১০.১৯) মহাষষ্টি


** স্রষ্টাকে নারী রূপে তাঁকে মাতৃ রূপে বন্দনা করার এই শারদ লগ্ন, আগামি কয়েকদিন চারিদিকে ভক্তিভরে অনুষ্ঠিত হবে মাতৃবন্দনা ও মাতৃপূজা ।
অথচ বাস্তবে দেখি সর্বব্যপি ক্রমান্বয়ে নারীজাতীর উপর অত্যাচার ও তাদের অবমাননা ।


আজ তাই মাতৃপৃূজার পর সমগ্র নারীজাতীকে আমার শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার এই নিবেদন -


** আজ মহাষষ্টির দিন মাতৃরূপে দেবী বন্দনা ও আরাধনার দিন আমার এই কবিতাটি সমগ্র নারীজাতিকে স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জানিয়ে উৎসর্গ করলাম।
** আমার এই লেখা সেই বৃহৎ সংখ্যক পুরুষদের বিরুদ্ধে যারা আজও করেই চলেছে নারীর উপর বর্বরোচিত অত্যাচার ।
যুগযুগান্ত ধরে চলে আসা পুরুষশাসিত সমাজে অধিকাংস পুরুষের নারীর উপর এই বর্বরোচিত অত্যাচার ও শোষণকে ধিক্কার জানাই। ধিক্কার জানাই ওই অত্যাচারি পুরুষদের যারা কেড়ে নেয় নারীর প্রাপ্য আধিকার । অন্তর হতে চাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও সাজা ।


জানি সুস্থ চিন্তা নিয়েও আছেন বহু পুরুষ । আসুন একত্রে দাঁড়াই এবং তুলে দিই নারীর হাতে তার প্রাপ্য অধিকার । আমরা পুরুষ নারী সবাই মিলিতভাবে বাঁচি একটা সুন্দর সৌহার্দপূর্ণ সুখি জীবন ।